সোনা পাচারের অভিযোগে বছর চারেক আগে এক বিমান সংস্থার কর্মীকে ধরা হয়েছিল। বিদেশ থেকে যাত্রী চোরাই সোনা নিয়ে এসে বিমানবন্দরের বাথরুমে তা তুলে দিয়েছিলেন ওই কর্মীর হাতে। তখনই হাতেনাতে ধরা পড়েন দু’জন।
বুধবার সকালে পুনরাবৃত্তি হল সেই ঘটনার। ১ কোটি টাকার চোরাই সোনা সমেত এক যাত্রীর সঙ্গে ধরা পড়লেন বিমানবন্দরের এক কর্মীও। শুল্ক দফতর সূত্রের খবর, এ দিন ভোরে ব্যাঙ্কক থেকে আসা ওই যাত্রী পঙ্কজকুমার চৌধুরীর বাড়ির গোরক্ষপুরে। তাঁর সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছেন সন্তোষ যাদব নামে ওই কর্মী।
সন্তোষ যে সংস্থার হয়ে বিমানবন্দরে কাজ করেন, তারা ছোট ব্যক্তিগত বিমান, পণ্য বিমান বা আচমকা কলকাতায় নেমে আসা বিদেশি যাত্রিবাহী বিমানকে পরিষেবা দেয়। বিমান পরিবহণের ভাষায় এই সংস্থাকে বলে ‘গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং এজেন্সি’। বিমান নামার পরে তার গায়ে সিঁড়ি লাগানো, অভিবাসন সংক্রান্ত নথি তৈরি, বিমান পরিষ্কার সহ বিভিন্ন কাজ করে ওই সংস্থাটি।
শুল্ক দফতর জানিয়েছে, পঙ্কজের সঙ্গে ছিল ৩ কিলোগ্রাম ৩৫৪ গ্রাম সোনা। বিমানবন্দরের যত্রতত্র ঘুরে বেড়ানোয় ছাড়পত্র রয়েছে ওই ব্যক্তির। পরিকল্পনা ছিল, সোনা নিয়ে তিনি সহজেই বেরিয়ে আসতে পারবেন। পরে পঙ্কজ এসে সোনা নিয়ে যাবেন। সোনা পাচারের ব্যাপারে সন্তোষের সংস্থার মালিক প্রেম বজাজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি ভারতের বাইরে আছি। ফিরে খোঁজ নেব।’’