শ্বাসরোধ করে ভাইকে খুন, যাবজ্জীবন দুই দাদার

সরকারি কৌঁসুলি শ্যামলেশ ভট্টাচার্য জানান, প্রীতম ও অ্যাডরিনের মাসতুতো ভাই ছিলেন কেভিন অ্যালফ্রেড ডি সিলভা। তিন জনই মাদকাসক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৯ ০১:৫৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

ভাইকে খুন করার পরে তাঁর জুতো জোড়া বিক্রি করে দিয়েছিল অন্য দুই ভাই। সেই সূত্র ধরে পুলিশ গ্রেফতার করে তাদের। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে তিলজলায় ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শুক্রবার দুই ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলেন বিচারক। সাজাপ্রাপ্তদের নাম প্রীতম সিংহ রায় ও অ্যাডরিন ফার্নান্ডেজ। আলিপুরের ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক অসীমা পাল অভিযুক্তদের ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করেছেন। অনাদায়ে আরও ৬ মাস সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

Advertisement

সরকারি কৌঁসুলি শ্যামলেশ ভট্টাচার্য জানান, প্রীতম ও অ্যাডরিনের মাসতুতো ভাই ছিলেন কেভিন অ্যালফ্রেড ডি সিলভা। তিন জনই মাদকাসক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। নেশা ছাড়াতে সোনারপুরের এক পুনর্বাসন কেন্দ্রে কেভিনের চিকিৎসা চলছিল। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে বড়দিন উপলক্ষে তাঁকে বাড়িতে আনা হয়। কেভিনের বোন জেরানডিন খারে দুবাইয়ে থাকতেন। তিনিও ওই সময়ে এসেছিলেন। ঠিক ছিল, কেভিনকে নিয়ে দুবাই চলে যাবেন জেরানডিন।

অভিযোগ, এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পেরে প্রীতম ও অ্যাডরিন ২৬ ডিসেম্বর তিলজলার সি এন রায় রোডে একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে ভাইকে নিয়ে যায়। সূত্রের খবর, সেই রাতে মাদক খাওয়া নিয়ে তিন জনের বচসার জেরে খুন হন কেভিন। ২৭ তারিখ সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

Advertisement

তদন্তকারী অফিসার শুভব্রত কর জানতে পারেন, খুনের পরে কেভিনের জুতো খুলে বৈঠকখানার একটি দোকানে বিক্রি করা হয়। জানা যায়, প্রীতম ও অ্যাডরিন ভাইকে খুন করে তাঁর জুতো বিক্রি করে দিয়েছিল। ২৭ ডিসেম্বরই গ্রেফতার করা হয় দুই অভিযুক্তকে। জেরায় তারা স্বীকার করে, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে কেভিনকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন