ফাইল চিত্র।
কলেজ স্কোয়ারের সাঁতারপুল থেকে সব জল বার করতেই বেরিয়ে পড়ল কংক্রিট ও কাঠের বেআইনি সব কাঠামো, যার নীচে আটকে মৃত্যু হয়েছে সাঁতার প্রশিক্ষক কাজল দত্তের। আজ, বৃহস্পতিবার পুলের নীচের বেআইনি সব কাঠামোই ভাঙার কাজ শুরু করছে পুরসভা। পার্ক ও উদ্যান দফতরের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বুধবার বিকেলে দফতরের অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তার পরেই কাঠামো ভাঙার সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারেরা জানিয়েছেন, কাঠামো ভাঙার সময়ে দেখা হবে, কোন ক্লাব তা গড়েছে। কেন তা তৈরি হয়েছে, তার জবাবও চাওয়া হবে সংশ্লিষ্ট ক্লাবের কাছে। ইঞ্জিনিয়ারেরা জানান, জল খালি করতেই দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন ক্লাব ‘ডাইভ’ দেওয়ার জন্য কংক্রিটের যে পাটাতন বানিয়েছে, তার নীচটা পুরো ফাঁকা। জলে ডুবে যাওয়ার সময়ে কেউ ওই পাটাতনের তলায় চলে গেলেই বিপদ। কারণ, সে সব জায়গায় নানা আবর্জনা থাকলেও বোঝা যায় না। কাজলবাবুর ক্ষেত্রে সেটাই ঘটেছিল।
তা হলে করণীয় কী? দেবাশিসবাবু জানান, ওই সব কংক্রিটের পাটাতনের চার পাশে দেওয়াল তোলা হবে, যাতে কেউ ঢুকতে না পারে। ওই কাজ করতে সময় লাগবে। তত দিন জল ভরা যাবে না পুলে। পুরসভার এই সিদ্ধান্তে বিপাকে কলেজ স্কোয়ার দুর্গাপুজো কমিটি। এক উদ্যোক্তার কথায়, ‘পুলের জলই অন্যতম আকর্ষণ এই পুজোয়।’’ এ বার কি তা হলে পুলে জল ছাড়াই পুজো হবে? এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘কী আর করা যাবে? উপায় নেই। কাজ চলাকালীনপুলে জল ভরা যাবে না।’’ বেআইনি কাঠামো গড়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ক্লাবগুলিরবিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র পারিষদ।