সল্টলেকে বিভিন্ন কেন্দ্রীয়-রাজ্য সরকারি এবং বেসরকারি আবাসনের বাইরে থাকা সব ক’টি ভ্যাট বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিধাননগর পুরসভা। তার বদলে পুর প্রশাসন বিন দেবে। প্রতিদিন আবর্জনা তোলার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়ে পাঠানো হবে কম্প্যাক্টর মেশিন। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেলের পাড় বরাবর সব ভ্যাট সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, পর্যায়ক্রমে গোটা সল্টলেক ভ্যাটমুক্ত করা হবে। পরবর্তী কালে রাজারহাট-গোপালপুর অংশেও ভ্যাট তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে বাম আমলেও এমন সিদ্ধান্তের ঘোষণা হয়েছিল। কিন্তু তা কার্যকর হয়নি। তৃণমূল পুরবোর্ড ক্ষমতায় এসে সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে দেখে, খোলা ভ্যাট থাকলে সেই প্রকল্প রূপায়ণে সমস্যা হবে। এমনকী, মশাবাহিত রোগ প্রকোপের ক্ষেত্রেও এই ভ্যাটগুলি ঘিরে অভিযোগ উঠেছে বার বার। তার পরেই পুর প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত।
এর আগে ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেলের পাড় বরাবর থাকা ভ্যাটগুলিতে বিভিন্ন ব্লক ও আবাসন থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করে জড়ো করা হত। সেখান থেকে তা ফেলা হত ডাম্পিং গ্রাউন্ডে। ওই জায়গার ভ্যাট সরিয়ে এখন বড় বিন বসানো হয়েছে।
তবে প্রশাসনের একটি অংশের অভিযোগ, ভ্যাট উঠিয়ে দিলেও শহর পরিচ্ছন্ন রাখা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ, বাসিন্দা থেকে শুরু করে বহিরাগতদের একটি অংশ যেখানে-সেখানে আবর্জনা ফেলেন। বার বার আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি। যেমন কেষ্টপুর ও ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেল বরাবর এলাকা, বিদ্যাসাগর মোড়, লাবণি মোড় থেকে এফডি ব্লকের রাস্তা, সিএ ব্লকের মোড় থেকে পূর্তভবনমুখী রাস্তা বা বৈশাখী মোড় থেকে পূর্তভবনমুখী রাস্তায় যত্রতত্র আবর্জনার ছবি দেখতেই সকলে অভ্যস্ত।
পুরসভা সূত্রের খবর, অনেক ক্ষেত্রেই বিভিন্ন আবাসনের আবর্জনা ভ্যাটের বাইরে ফেলা হত। সেই আবর্জনা নিয়মিত সংগ্রহের ক্ষেত্রেও কিছু সমস্যা ছিল। ফলে অপরিচ্ছন্নতার অভিযোগও উঠেছে একাধিক বার।
মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ) দেবাশিস জানা জানান, গোটা সল্টলেক থেকেই পর্যায়ক্রমে ভ্যাট তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। আপাতত আবাসনগুলির বাইরে থাকা ভ্যাট তুলে দেওয়া হচ্ছে। সেগুলি ঘিরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং দৃশ্যদূষণের অভিযোগ উঠছিল। ভ্যাটের বদলে সেখানে বিন এবং কম্প্যাক্টর পাঠানো হবে।’’
কলকাতার আরও খবর পড়তে চোখ রাখুন আনন্দবাজারে।