ভোর রাতে বেপরোয়া গাড়ি, দেখবে কে

কলকাতা পুলিশ এলাকায় ট্র্যাফিক কর্মীদের যখন ডিউটি থাকে না, তখনও স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা ও সিসি ক্যামেরার নজরদারি থাকে। কলকাতা পুলিশের দাবি, এর জেরে চালকদের সচেতনতা কিছুটা বেড়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০১:১৩
Share:

—ফাইল চিত্র।

সকাল আটটা থেকে রাস্তায় ট্র্যাফিক কর্মীদের নজরদারি শুরু হয়। চলে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। অভিযোগ, গভীর রাতে বা ভোরের দিকে ট্র্যাফিক কর্মী না থাকার ‘সুযোগে’ বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালান বহু চালকই। সম্প্রতি পাঁচ নম্বর সেক্টরে নবদিগন্ত উড়ালপুলের কাছে স্কুলবাস ও মোটরবাইক দুর্ঘটনা এবং বাইপাসের সকালে ক্যাব দুর্ঘটনায় এক ছাত্রের মৃত্যুতে ফের কাঠগড়ায় রাতের ট্র্যাফিকের নজরদারি।

Advertisement

কলকাতা পুলিশ এলাকায় ট্র্যাফিক কর্মীদের যখন ডিউটি থাকে না, তখনও স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা ও সিসি ক্যামেরার নজরদারি থাকে। কলকাতা পুলিশের দাবি, এর জেরে চালকদের সচেতনতা কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় এখনও সর্বত্র সিসি ক্যামেরা নেই। ফলে ওই এলাকায় রাতে বা ভোরে বেপরোয়া যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

গত বুধবার সকালে নবদিগন্ত উড়ালপুলের কাছে কাট আউটের সামনের দুর্ঘটনাস্থলে কোনও সিসি ক্যামেরা ছিল না বলেই জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মেট্রো প্রকল্পের কাজের জন্য যান চলাচলের সুবিধা করতেই কাট আউট। সেখানে গাড়ি ঘোরানোর পর্যাপ্ত জায়গাও আছে। প্রাথমিক তদন্তে তাই দুর্ঘটনার নেপথ্যে স্কুলবাস এবং মোটরবাইক চালকের সতর্কতার অভাবকেই কারণ বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

বিধাননগরের পুলিশ কর্তাদের একাংশের কথায়, আগের থেকে সিসি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। আরও বসানোর কাজ চলছে। পাশাপাশি নিয়মিত অভিযান, কেস দেওয়া, সচেতনতার প্রচার এবং পরিকাঠামোর সংস্কারও চলছে। তবে সল্টলেকবাসীদের অভিযোগ, সিসি ক্যামেরা এবং সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু হওয়ায় দুর্ঘটনা কিছু কমলেও রাতে ও ভোরে বিপজ্জনক ভাবেই গাড়ি যায়।

পুলিশের দাবি, কমিশনারেট এলাকায় বেশ কয়েকটি জায়গায় বেসরকারি অফিস এবং তথ্যপ্রযুক্তি তালুক রয়েছে। সেখানে ২৪ ঘণ্টা কাজ চলে। ফলে রাতে বা ভোরেও গাড়ির চাপ থাকে। আইটি কর্মীদের একাংশের কথায়, ভোরে ডিউটিতে পৌঁছতে তাড়ায় থাকেন অনেকেই। সময়ে অফিসে পৌঁছতে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে, বিশ্ববাংলা সরণি, ভিআইপি রোড, যশোর রোডে প্রতি দিনই ঊর্ধ্বশ্বাসে গাড়ি চালান চালক।

বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দাপ্রধান শবরী রাজকুমার জানান, রাতে ও ভোরে রাস্তা ফাঁকা থাকায় গাড়ির গতিবেগ বেশি থাকে। গার্ডরেলের মাধ্যমে নিয়মিত গতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। তবে দুর্ঘটনা এড়াতে সিসিটিভির সংখ্যা বাড়ানো-সহ আরও কিছু পদক্ষেপ করার চেষ্টা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement