ফাইল চিত্র।
ইকো পার্ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিউ টাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করল আক্রান্তের পরিবার।
শনিবার সপরিবারে ইকো পার্ক ঘুরতে গিয়েছিলেন নিউ টাউনের বাসিন্দা রিয়া ঘোষ। ‘সেভেন ওয়ান্ডার্সে’ তাজমহল ও চিনের প্রাচীরের মাঝের রাস্তায় আচমকা একটি কালো রঙের কুকুর তাঁর দু’বছরের পুত্রসন্তান আদ্রিকের দিকে তেড়ে আসে। আদ্রিককে বাঁচাতে হাতের ব্যাগকে অস্ত্র করেন মা। তাতে ছেলে রক্ষা পেলেও রিয়ার বাবা শ্যামল দাসের পায়ে কামড় বসিয়ে দেয় কুকুরটি। অনভিপ্রেত ওই ঘটনার জন্য ইকো পার্ক কর্তৃপক্ষকেই কাঠগড়ায় তুলেছিলেন রিয়া। রবিবার তিনি নিউ টাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করার কথা জানান। ওই পার্কের নিরাপত্তারক্ষী-সহ মোট চার জনকে কামড়ে ছিল কুকুরটি। রিয়া ছাড়া রাঁচির বাসিন্দা, আক্রান্ত সুরেখা সিংহও পৃথক একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
দু’দিনের জন্য কলকাতা ঘুরতে এসে শনিবার দুই মেয়ে ও স্বামীর সঙ্গে ইকো পার্কে এসেছিলেন সুরেখা। ছ’বছরের মেয়েকে নিয়ে শৌচাগার যাওয়ার পথে কুকুরের কামড় খান তিনি। এ দিন রিয়া বলেন, ‘‘বাবা কেমন আছেন, তা খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি পার্ক কর্তৃপক্ষ। হিডকো চেয়ারম্যানকে আমাদের অভিজ্ঞতার কথা জানাব।’’
শনিবারের ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন। তবে অব্যবস্থার অভিযোগ তিনি মানতে চাননি। তাঁর কথায়, ‘‘পুরো ঘটনায় আমাদের এক জন নিরাপত্তারক্ষীও জখম হয়েছেন। তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আক্রান্তদের বাঁচিয়েছেন।’’
পরিবার নিয়ে সবাই যেখানে ইকো পার্কে ঘুরতে আসেন, সেখানে সারমেয় নিয়ন্ত্রণে কী ভাবছেন কর্তৃপক্ষ? দেবাশিসবাবু জানান, নিয়মিত কুকুরদের নির্বীজকরণ কর্মসূচি করা হয়। প্রতি শুক্রবার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে তাদের প্রতিষেধক দেওয়া হয়। অনেক সময়ে দর্শকেরা আবর্জনা পাত্রের পরিবর্তে যত্রতত্র খাবারের প্যাকেট ফেলেন। খাবারের সন্ধানে পার্কের মধ্যে কুকুর ঢুকে পড়ে। তিনি আরও বলেন, ‘‘আগামী দিনে এ ধরনের ঘটনা যাতে কমানো যায়, সে জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।’’