বিমানবন্দরের জলা বুজিয়ে ছক প্রোমোটিংয়ের

কৈখালি থেকে নারায়ণপুর যেতে পূর্ত দফতরের তৈরি রাস্তার এক দিকে বিমানবন্দরের সীমানার দেওয়াল রয়েছে। আর রাস্তার এক দিকে রয়েছে বিমানবন্দরের জলাশয়। যেটি আসলে বিমানবন্দরের ‘ফানেল’।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:৩৯
Share:

এই জলা বোজানোরই চেষ্টা হয়েছিল। নিজস্ব চিত্র

পাড়ার পুকুর নয়। বেআইনি নির্মাণের উদ্দেশ্যে এ বার ভরাট হল বিমানবন্দরের জলাশয়।

Advertisement

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, তাঁদের জলাশয় বুজিয়ে এবং সরকারি রাস্তাকে যাতায়াতের পথ হিসেবে নকশায় দেখিয়ে প্রোমোটিংয়ের ছক কষেছিল এক ব্যক্তি। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে শুক্রবার বিমানবন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এএআই)।

কৈখালি থেকে নারায়ণপুর যেতে পূর্ত দফতরের তৈরি রাস্তার এক দিকে বিমানবন্দরের সীমানার দেওয়াল রয়েছে। আর রাস্তার এক দিকে রয়েছে বিমানবন্দরের জলাশয়। যেটি আসলে বিমানবন্দরের ‘ফানেল’। আকাশের ওই পথে বিমান ওঠানামা করে। সেখানেই ওই বেআইনি নির্মাণের চেষ্টা হচ্ছিল বলে অভিযোগ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের।

Advertisement

বিধাননগর পুর এলাকার দশদ্রোণের খামরুই পাড়ায় রয়েছে জলাশয়টি। সোমবার কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এক আধিকারিক জানান, কৈখালি-নারায়ণপুরের ওই রাস্তাকে যাতায়াতের পথ হিসেবে দেখিয়ে বহুতলের অনুমতি পাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল ওই অভিযুক্ত। জলাশয়ের একাংশ বুজিয়েও ফেলা হয়েছে। বিমান ওঠানামার নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় বহুতল নির্মাণে কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। তার পরোয়া না করে যে ভাবে বিমানবন্দরের জমির উপরে এই জলাশয় বুজিয়ে ফেলা হয়েছে, তাতে উদ্বিগ্ন কর্তৃপক্ষ। পুলিশ সূত্রের খবর, সেই উদ্বেগের কথা লিখিত অভিযোগে জানিয়েছে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্বেগের সঙ্গে সহমত ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায়। বস্তুত, খামরুই পাড়ায় ওই জলাশয় বোজানোর খবর কাউন্সিলরের উদ্যোগেই বিমানবন্দরের কাছে পৌঁছয়। এর পরেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কর্তৃপক্ষ। এ ভাবে বহুতলের স্বার্থে জলাশয় বোজানো হলে ওয়ার্ডের নিকাশি ব্যবস্থাও ভেঙে পড়বে বলে মনে করেন পুর কর্তৃপক্ষ। তাই ঘটনাটি মেয়র সব্যসাচী দত্তকে জানান কাউন্সিলর। মেয়রের নির্দেশে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন পুর আধিকারিকেরা। স্বাতীর কথায়, ‘‘কোথায় কী হচ্ছে জানি না। আমার ওয়ার্ডে জলাশয় বোজাতে দেব না।’’

পুলিশ সূত্রের খবর, দেবাশিস সিংহ রায় নামে এক ব্যক্তি পুরসভাকে অন্ধকারে রেখে এ কাজ করছিলেন বলে অভিযোগ। সে প্রসঙ্গে দেবাশিসবাবুর প্রতিক্রিয়া জানতে তাঁর বাড়িতে যাওয়া হলে সেখানে এক মহিলা জানান, দেবাশিসবাবু বাড়িতে নেই। মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তাঁর ফোন সুইচড অফ ছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন