লন্ড্রিতে পুলিশের ‘দাদাগিরি’

মুন্সীপাড়া লেনের বাসিন্দা অভিষেক বসাক নামে ওই লন্ড্রির মালিক জানিয়েছেন, কলাকার স্ট্রিটে তাঁদের তিন পুরুষের লন্ড্রি। সেখানে গত ১ এপ্রিল দেবেন্দ্র দাগা নামে এক ব্যক্তি দু’টি কোট দিয়ে যান ড্রাই ক্লিনিংয়ের জন্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০১:০৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

লন্ড্রির লোকজন ছুটিতে গিয়েছেন। ফলে বেশ কয়েক দিন জামা-কাপড় কাচা হয়নি। কারখানাতেই পড়ে। গ্রাহককে কাপড় ফেরত দিতে পারেননি লন্ড্রির মালিক। অভিযোগ, গ্রাহকের ফোনে সেই অভিযোগ পেয়ে লন্ড্রিতে এসে মালিকের উপরে চড়াও হন পোস্তা থানার তিন পুলিশকর্মী। শুধু তা-ই নয়, পরে লন্ড্রিতে দেওয়া কাপড়-জামা কেচে দেওয়া সত্ত্বেও পুলিশ মাঝখানে দাঁড়িয়ে দোকানের মালিককে বিনা পয়সায় জামা-কাপড় দিতে বাধ্য করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। যদিও পোস্তা থানার দাবি, এত কিছুই ঘটেনি। লন্ড্রির মালিক কিছুতেই জামা-কাপড় ফেরত দিচ্ছিলেন না বলে পুলিশ গিয়েছিল বিষয়টি মেটাতে।

Advertisement

মুন্সীপাড়া লেনের বাসিন্দা অভিষেক বসাক নামে ওই লন্ড্রির মালিক জানিয়েছেন, কলাকার স্ট্রিটে তাঁদের তিন পুরুষের লন্ড্রি। সেখানে গত ১ এপ্রিল দেবেন্দ্র দাগা নামে এক ব্যক্তি দু’টি কোট দিয়ে যান ড্রাই ক্লিনিংয়ের জন্য। তার আগের দিনই অপর এক গ্রাহক রুচিরা মাহেশ্বরী একটি কোট-প্যান্ট দিয়ে গিয়েছিলেন। ডেলিভারির তারিখ ছিল ২০ এপ্রিল। সেইমতো গ্রাহকেরা দোকানে আসেন।

অভিষেকবাবু জানিয়েছেন, সেই সময়ে তিনি দোকানে ছিলেন না। দোকান সামলাচ্ছিলেন বৃদ্ধ কর্মচারী অমলেন্দু চট্টোপাধ্যায়। তিনি ওই দুই গ্রাহককেই জানান, তাঁদের জিনিস পেতে ক’দিন দেরি হবে। অভিষেকবাবুর অভিযোগ, কথাটি শুনেই দুই গ্রাহক চিৎকার শুরু করেন। পুলিশ ডেকে দোকান বন্ধ করার হুমকিও দেন। তাঁরা ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে পোস্তা থানায় ফোন করলে কিছু ক্ষণের মধ্যে লাঠি হাতে দু’জন সাদা পোশাকের পুলিশকর্মী আসেন। নিজেদের পোস্তা থানার পুলিশ বলে পরিচয় দেন। অভিযোগ, তাঁরা ওই কর্মচারীকে গালিগালাজ করেন। অভিষেকবাবু ফোনে গ্রাহকদের তখন জানিয়ে দেন, তিনি কারখানা থেকে কাপড় এনে দেবেন। কিন্তু সমস্যা মেটেনি। ওই দুই গ্রাহকের থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

অভিষেকবাবুর অভিযোগ, অভিষেকবাবু ২৫ তারিখ দুপুরেই জামা-কাপড় ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু পরদিন রুচিরাদেবী লোক পাঠিয়ে জিনিস নিলেও টাকা দেননি বলে অভিযোগ। তাতে গোলমাল বাধলে ফের পুলিশ আসে। অভিষেকবাবুর অভিযোগ, টাকা দেওয়া হবে না বলতে বলতে পুলিশকর্মীরা তাঁর কলার ধরে দোকান থেকে টেনে নিয়ে যান। পরে ফের তিনি থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ অবশ্য এমন ‘দাদাগিরি’র অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন