প্রতীকী ছবি।
শনিবারের পরে সোমবার। ফের চেতলায় চুরি। আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে চেতলা থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে কাছাকাছি দু’টি বাড়িতে চুরির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার দিনেদুপুরে ৩সি/১এ চেতলা হাট রোডের ঠিকানায় চারতলা বাড়ির দোতলায় একটি ফ্ল্যাটের কোল্যাপসিব্ল গেট ও দরজার তালা ভেঙে আলমারি থেকে গয়না ও নগদ টাকা মিলে লক্ষাধিক টাকার সামগ্রী নিয়ে লুঠ করে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানিয়েছে, ওই আবাসনের দোতলায় সস্ত্রীক থাকেন পেশায় সরকারিকর্মচারী সোমনাথ সিংহ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সোমবার সা়ড়ে এগারোটা নাগাদ সোমনাথবাবু অফিসের উদ্দেশে আলিপুর রওনা দেন। তাঁর স্ত্রী সাড়ে বারোটা নাগাদ চেতলার স্থানীয় একটি শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে বেরিয়ে যান। সোমনাথবাবুর কথায়, ‘‘আমার স্ত্রী দু’টো নাগাদ বাড়ি ফিরে দেখেন, ফ্ল্যাটের কোল্যাপসিব্ল গেট ও দরজার তালা ভাঙা। ফ্ল্যাটের ভিতরে ঢুকে দেখেন, আলমারি থেকে নগদ টাকা ও গয়না মিলে লক্ষাধিক টাকার সামগ্রী উধাও। স্ত্রীর কাছে ফোনে ঘটনাটি জেনে আমি অফিস থেকে ফিরে এসে চেতলা থানার পুলিশকে জানাই।’’
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে দেড়টার মধ্যে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চেতলা হাট রোডে চারতলা বাড়িতে চারটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এ দিন ঘটনার সময়ে একতলায় একটি পরিবারের সদস্যেরা ফ্ল্যাটের মধ্যে ছিলেন। দিনেদুপুরে ফ্ল্যাটের গেট ও দরজার তালা ভাঙার শব্দ নীচের তলার বাসিন্দারা কেন টের পেলেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা গিয়েছে। এ দিন ওই ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। তদন্তকারীদের সোমনাথবাবু জানিয়েছেন, গত ডিসেম্বরে তাঁর ফ্ল্যাটে রঙের মিস্ত্রিরা কাজ করেছেন। ওই রঙের মিস্ত্রিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।
শনিবার রাতে চেতলা হাট রোড লাগোয়া মহেশ দত্ত লেনে একটি বাড়ি থেকে আলমারি কেটে নগদ টাকা, গয়না মিলিয়ে প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা মূল্যের সামগ্রী খোয়া যায়। এই চুরির রেশ কাটতে না কাটতেই ফের সোমবার দুপুরে চেতলা হাট রোডে চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিনদারা। সোমনাথবাবুর একমাত্র ছেলে কর্মসূত্রে রাজ্যের বাইরে থাকেন। তাঁর কথায়, ‘‘চেতলাতেই ছোট থেকে বাস করছি। দিনের বেলায় এ রকম ঘটনার পরে এ বার রাতের কথা ভেবে আরও ভয় করছে।’’ লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘চুরির ঘটনার তদন্ত চলছে।’’