COVID Cases

অ্যাডিনোর পাশাপাশি সামান্য বেড়েছে করোনাও

রাজ্যে গত দেড় মাসে যেখানে করোনায় এক জনেরও মৃত্যু হয়নি, সেখানে গত শনিবার ফের এক বৃদ্ধ মারা গিয়েছেন এই রোগে। করোনায় আক্রান্ত হয়েহাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও বেড়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৩ ০৭:০১
Share:

শেষ চার-পাঁচ দিন ধরে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দশের উপরে রয়েছে। প্রতীকী ছবি।

কয়েক দিন আগেও জ্বর ও শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ নিয়ে একের পর এক শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি হতে দেখেছে এই শহর। রাজ্যে অ্যাডিনো ও অন্যান্য ভাইরাসের সেই প্রকোপ চলার সময়ে গোপনে, খুব ধীরে হলেও বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা!

Advertisement

এমনকি, রাজ্যে গত দেড় মাসে যেখানে করোনায় এক জনেরও মৃত্যু হয়নি, সেখানে গত শনিবার ফের এক বৃদ্ধ মারা গিয়েছেন এই রোগে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও যেখানে একেবারে তলানিতে চলে গিয়েছিল, সেখানে বুধবারের পরিসংখ্যান বলছে, এ দিন পর্যন্ত রাজ্যে ছ’জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার মধ্যে বর্ধমানের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দু’জনের অক্সিজেনের প্রয়োজন হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, দেশেও করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু ও কেরলে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সূত্র ধরে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বঙ্গেও করোনার প্রকোপ কিছুটা বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্যকর্তাদের একাংশ। কারণ, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের গত ২১ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত পরিসংখ্যান বলছে, এ রাজ্যে দুইয়ের উপরে পজ়িটিভিটি রেট রয়েছে কলকাতা-সহ তিনটি জেলায়। কলকাতায় ২.৬৭ শতাংশ, বাঁকুড়ায় ২.১৩ শতাংশ ও হুগলিতে ২.০২ শতাংশ। নদিয়ায় তা ১.০৪ শতাংশ। আবার একের নীচে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর (০.৯৭)। গত ২৮ জানুয়ারি করোনার শেষ দৈনিক বুলেটিন প্রকাশ করেছিল স্বাস্থ্য দফতর। ওই দিন রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ছয়।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, শেষ চার-পাঁচ দিন ধরে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দশের উপরে রয়েছে। যদিও এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, ‘‘অন্যান্য রাজ্যের মতো এখানেও প্রকোপ সামান্য বাড়বে। তাতে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে, পরিস্থিতি বুঝতে গেলে পরীক্ষার উপরে জোর দিতে হবে।’’ কিন্তু সমস্যা সেখানেই। অধিকাংশ মানুষই এখন পরীক্ষা করাতে রাজি হচ্ছেন না বলে অভিযোগ চিকিৎসকদের। জ্বর, সর্দি-কাশির সমস্যা নিয়ে আসা রোগীরা প্রায় সকলেই সাধারণ ফ্লু-তে আক্রান্ত হয়েছেন বলে দাবি করছেন। কোভিড পরীক্ষার কথা বললে দ্বিতীয় বার চিকিৎসা করাতে আসছেন না। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক-চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকদার জানাচ্ছেন, কয়েক দিন আগে শহরের ওই হাসপাতালেও এক জন রোগীর শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছিল। তাঁর কথায়, ‘‘অনেক রোগীরই করোনার মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। কিন্তু তাঁরা কিছুতেই পরীক্ষা করাতে রাজি হচ্ছেন না। অগত্যা করোনা ধরে নিয়ে চিকিৎসা করতে হচ্ছে।”

Advertisement

দিনকয়েক আগে রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকও। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ১১ ও ১২ এপ্রিল গোটা দেশের মতো এ রাজ্যেও হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা পরিকাঠামো সংক্রান্ত ‘মক ড্রিল’ হবে। এক কর্তার কথায়, “আবারও ঝড় এলে, প্রতিটি পর্বে কী ভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হবে, তা নির্দিষ্ট করা রয়েছে। সেগুলির পাশাপাশি অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন