Amherst Street

Gun shot in Amherst Street: পাওনা টাকা না পেয়েই গুলি করে খুনের ছক

বৃহস্পতিবার রাতে বিহারের জামুই থেকে গ্রেফতার করা হয় আমহার্স্ট স্ট্রিট গুলি-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত রাকেশ ও মণীশকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২২ ০৬:১৯
Share:

প্রতীকী ছবি

পাওনা ছিল দেড় লক্ষ টাকা। আর সেই টাকা না পেয়েই দীপক দাসকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল অভিযুক্ত রাকেশ দাস। সেই কাজে তাকে সঙ্গ দেয় মণীশ দাস। আমহার্স্ট স্ট্রিট গুলি-কাণ্ডে ধৃত রাকেশ ও মণীশকে জেরা করেই এই তথ্য জানা গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে খুনে ব্যবহৃত বন্দুকটি এখনও উদ্ধার হয়নি বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাতে বিহারের জামুই থেকে গ্রেফতার করা হয় আমহার্স্ট স্ট্রিট গুলি-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত রাকেশ ও মণীশকে। শনিবার তাদের আদালতে তোলা হলে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ হয়। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জেনেছে, দীপকের থেকে দেড় লক্ষ টাকা পেত রাকেশ। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরেই সেই টাকা দিতে অস্বীকার করছিলেন দীপক। তাই টাকা ফেরত না পেয়ে তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করে রাকেশ। আরও জানা গিয়েছে, এর আগে একাধিক বার দীপকের কাছে এসেছিল রাকেশ। দীপকের গলায় যে একাধিক সোনার গয়না রয়েছে, তা আগে থেকেই জানত সে। তাই পাওনা টাকা না পেয়ে ওই সোনার গয়না হাতিয়ে দীপককে খুনের ছক কষে। আর এই পুরো পরিকল্পনায় সে সঙ্গে নেয় মণীশকে।

পরিকল্পনা মতো ধৃতেরা গত বুধবার কেশবচন্দ্র সেন স্ট্রিটের ওই দোকানে ঢুকে দীপকের কাছে পাওনা টাকা দাবি করে। দীপক টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে রাকেশ। এর পরে দীপকের গলা থেকে সোনার চেন-লকেট হাতিয়ে দু’জনে সেখান থেকে চম্পট দেয়। পুলিশি তল্লাশিতে ধৃতদের থেকে সেই সোনার চেন ও লকেট উদ্ধার হয়েছে। তবে খুনে ব্যবহৃত বন্দুক এখন উদ্ধার করা যায়নি। কোথা থেকে ওই বন্দুক পেয়েছিল ধৃতেরা, তাদের জেরা করে জানার চেষ্টা চলছে। খুনের পরে বন্দুক কোথায় রেখে তারা পালিয়েছিল, তা-ও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

Advertisement

প্রসঙ্গত, বুধবার আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার কেশবচন্দ্র সেন স্ট্রিটে দিনেদুপুরে খুন হন পেশায় প্রোমোটার দীপক। ওই এলাকায় তাঁর দোকানে ঢুকে পরপর দু’রাউন্ড গুলি চালায় আততায়ীরা। একটি গুলি দীপকের গলা হয়ে মাথার এক পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। স্থানীয়েরাই তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এসএসকেএমে নিয়ে যান। সেখানেই রাতে মৃত্যু হয় দীপকের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন