‘নো অবজেকশন’ সার্টিফিকেট দেওয়ার পরিবর্তে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে দমকলের এক অফিসারকে কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠিয়ে দিলেন রাজ্য দমকলের ডিজি। বড়িশার এক প্রাথমিক স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, বেহালায় দমকলের দফতরে গেলে ওই অফিসার তাঁদের কাছে ঘুষ চান। দফতর সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে ওই অফিসারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সত্যি বলেই জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার দমকলমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় জানান, ওই অফিসারের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে কোনও অফিসার ‘নো অবজেকশন’ দেওয়ার জন্য ঘুষ চাইলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
কী হয়েছিল ওই স্কুলে? শোভনবাবু জানান, ঠাকুরপুকুরের কাছে বড়িশায় কমলা বালিকা বিদ্যালয় অষ্টম শ্রেণি থেকে একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত করা হয়েছে। সেই কারণে ওই স্কুলে নতুন কিছু নির্মাণ হবে। তার জন্য প্রয়োজন দমকল দফতরের ‘নো অবজেকশন’। তা নিতেই বেহালা দমকল দফতরের আধিকারিক তারকেশরঞ্জন সিংহের কাছে গিয়েছিলেন স্কুলের প্রতিনিধিরা। সে সময়ে তিনি ‘নো অবজেকশন’ দেওয়ার বদলে উপঢৌকন চান বলে অভিযোগ স্কুল কর্তৃপক্ষের। তাঁরা রাজি না হওয়ায় ওই অফিসার অগ্নি-নির্বাপক ব্যবস্থার জন্য ওভারহেড ট্যাঙ্ক, হোস পাইপ-সহ আনুষঙ্গিক নানা পরিকাঠামো তৈরি করতে বলেন।
দমকলমন্ত্রীর কথায়, ‘‘ঘুষ না মেলায় ওই অফিসার এমন সব পরিকাঠামো তৈরির ফিরিস্তি দেন, যার জন্য কয়েক লক্ষ টাকা প্রয়োজন। ছোট স্কুলের পক্ষে তা জোগাড় করা কঠিন।’’ তিনি জানান, একটি সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত প্রাথমিক স্কুলের কাছ থেকে ঘুষ চাওয়া চরম নিন্দনীয় এবং অসম্মানজনক। স্থানীয় কাউন্সিলর ঘনশ্রী বাগের কাছে বিষয়টি জানান স্কুল কর্তৃপক্ষ। পরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকেও জানানো হয়। খবর যায় বেহালার বিধায়ক তথা মন্ত্রী ও মেয়র শোভনবাবুর কাছে। এর পরেই দমকলের ডিজি জগমোহনকে বিষয়টি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
শোভনবাবু জানান, দমকলের ছাড়পত্র নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিকে আর কোনও টাকা দিতে হবে না। তেমনই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সরকার। শীঘ্রই এ ব্যাপারে ঘোষণা করা হবে।