Kolkata Hotel Fire

বড়বাজারের হোটেলে কাজের বরাত পাওয়া সেই ঠিকাদারকেও ধরল পুলিশ, গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে তিন

এর আগে বড়বাজারের ওই হোটেলের মালিক এবং ম্যানেজারকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। অভিযোগ, হোটেল কর্তৃপক্ষের অনেক গাফিলতি ছিল। এ বার হোটেলের কাজের ঠিকাদারকেও গ্রেফতার করা হল।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২৫ ১২:৫০
Share:

(বাঁ দিকে) বড়বাজারের হোটেলে আগুন। ধৃত ঠিকাদার খুুরশিদ আলম (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।

কলকাতার বড়বাজারের হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও এক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই হোটেলে ভিতরের কাজের বরাত পাওয়া ঠিকাদার খুরশিদ আলমকে। হোটেলের ভিতরে যেখানে কাজ চলছিল, সেখান থেকেই আগুন ছড়িয়েছে বলে অনুমান পুলিশ এবং দমকলের। কলকাতা পুলিশের ১১ জনের তদন্তকারী দল বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তারাই খুরশিদকে গ্রেফতার করেছে। এই নিয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল তিন জন।

Advertisement

এর আগে বড়বাজারের ওই হোটেলের মালিক এবং ম্যানেজারকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। অভিযোগ, হোটেল কর্তৃপক্ষের অনেক গাফিলতি ছিল। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা সঠিক ছিল না। যে কারণে আগুন লাগার পরে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে অনেকের মৃত্যু হয়। দমকলের ১০টি ইঞ্জিন দীর্ঘ ক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছিল। দমকলের তরফেই হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলাও রুজু করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে হোটেলের মালিক আকাশ চাওলা এবং ম্যানেজার গৌরব কপূরকে। গ্রেফতারির আগে ম্যানেজারকে দীর্ঘ ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদও করেন তদন্তকারীরা।

বড়বাজারের ওই হোটেলের ভিতরে দোতলায় প্লাইউডের কাজ চলছিল। এই কাজের চুক্তিভিত্তিক বরাত পেয়েছিলেন খুরশিদ। তিনি কর্মীদের নিয়োগ করেছিলেন ওই হোটেলে। যেখানে কাজ চলছিল, সেই দোতলা থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে মঙ্গলবার রাতে। সে সময়ে হোটেলের একটি সিঁড়ি বন্ধ রাখা হয়েছিল। স্থানীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, আগে হোটেলটি বিয়েবাড়ির জন্য ভাড়া দেওয়া হত। সেই সময় হোটেলের দু’টি সিঁড়িই ব্যবহার করা হত। পরে শাটার দিয়ে একটি সিঁড়ির রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেখানে প্লাইউড নিয়ে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছিল বলে খবর। কেন সিঁড়ি বন্ধ করা হল, কী ভাবে আগুন ছড়াল, সেই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে খুরশিদকে।

Advertisement

বড়বাজারের অগ্নিকাণ্ডে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রত্যেকেই ভিন্‌রাজ্যের বাসিন্দা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, অধিকাংশের মৃত্যু হয়েছে বিষাক্ত ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে। কারও কারও দেহে পোড়া ক্ষতও মিলেছে। এক জন আগুনের হাত থেকে বাঁচতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। উঁচু থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মৃতদের পরিবার এবং আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ আগেই ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার বড়বাজারের ওই হোটেল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণ মানুষকে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement