Durga Puja 2022

বাজার সেরেই মণ্ডপে ঢুঁ, তৃতীয়াতেই ঢল দর্শকের

বড় বাজেটের পুজোগুলির পাশাপাশি বিভিন্ন বাজার ও শপিং মল সংলগ্ন মণ্ডপগুলিও ভিড় টানল বুধবার। শেষ বেলার পুজোর বাজার সেরে ব্যাগ হাতেই প্রতিমা দর্শন করলেন অনেকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:০৩
Share:

উৎসাহ: তৃতীয়ার সন্ধ্যা থেকেই মণ্ডপে জমল ভিড়। বুধবার, সুরুচি সঙ্ঘের পুজোয়। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

তৃতীয়াতেই মণ্ডপে নামল মানুষের ঢল। বড় বাজেটের পুজোগুলির পাশাপাশি বিভিন্ন বাজার ও শপিং মল সংলগ্ন মণ্ডপগুলিও ভিড় টানল বুধবার। শেষ বেলার পুজোর বাজার সেরে ব্যাগ হাতেই প্রতিমা দর্শন করলেন অনেকে। সন্ধ্যায় সেই ভিড়েই যোগ দিলেন অফিসফেরত জনতা থেকে শুরু করে কমবয়সিরা।

Advertisement

প্রায় সব মণ্ডপেই প্রতিমা এসে গিয়েছে। উদ্বোধনও হয়ে গিয়েছে একাধিক পুজোর। যে অল্প সংখ্যক বড় পুজোর উদ্বোধন এখনও বাকি, সেখানে চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। পাশাপাশি গড়িয়াহাট, হাতিবাগান-সহ একাধিক বাজারে জমিয়ে চলছে ‘স্লগ ওভার’-এর কেনাকাটা। এ দিন বাড়ি ফেরার পথে অনেকেই চক্কর কাটলেন মণ্ডপে মণ্ডপে। সেই ভিড়ে দেখা গেল পড়ুয়াদেরও। উত্তর ও দক্ষিণের একাধিক বড় পুজোর পাশাপাশি ভিড় জমল গড়িয়াহাট এবং হাতিবাগান সংলগ্ন একাধিক মণ্ডপেও। সকালে ভিড় না থাকলেও দুপুরের পর থেকে ছবিটা বদলাতে থাকে। সন্ধ্যার পরে সেই ভিড় কার্যত জনজোয়ারের চেহারা নেয়। এ দিন সন্ধ্যায় হাতে ব্যাগ ঝুলিয়ে একডালিয়া এভারগ্রিনের রাস্তায় হাঁটছিলেন মধ্যবয়সি দুই মহিলা। সঙ্গে তাঁদেরই এক জনের ছেলে। ছেলে বাড়ি ফিরতে চাওয়ায় এক মহিলা বলে উঠলেন, ‘‘পুজোয় রোজ কি আর বেরোনো যাবে? কাছাকাছির মধ্যে দু’তিনটে পুজো আছে। ওগুলো দেখেই বাড়ি ফিরব।’’

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উদ্বোধনের পর থেকেই ভিড় টেনেছে গড়িয়াহাট সংলগ্ন সিংহী পার্কের পুজো। ওই রাতেই ভিড়ের চাপে ডোভার লেনে গাড়ি চলাচল থমকে যায়। এ দিন সকাল থেকেই স্কুলপডুয়াদের পাশাপাশি গড়িয়াহাটে আসা লোকজন সেই মণ্ডপে ভিড় করেন। অন্যতম উদ্যোক্তা জয়ন্ত গুছাইত বলেন, ‘‘প্রতি বছরই কেনাকাটা করতে এসে অনেকে আমাদের পুজোয় ঘুরে যান। দিনের বেলায় মূলত স্কুল-কলেজ পড়ুয়া এবং বাজার করতে আসা লোকজন ভিড় করছেন। তবে সন্ধ্যার পরে কোনও হিসাব থাকছে না।’’

Advertisement

এ দিন দুপুরে অবশ্য কিছু ক্ষণের বৃষ্টিতে তাল কেটেছিল। বৃষ্টি থামার পরে বিকেলে ফের ভিড় দেখা যায় মণ্ডপে মণ্ডপে। চেতলা অগ্রণী, বোসপুকুর শীতলা মন্দির, যোধপুর পার্ক ও ত্রিধারার পুজোয় সন্ধ্যা থেকেই ছিল নজরকাড়া ভিড়। উদ্বোধনের আগেই দেশপ্রিয় পার্কের পুজোয় ঢুঁ মারতে দেখা গিয়েছে অনেককে। ভিড়ে পা মেলান অফিসফেরত লোকজনও। বান্ধবীর সঙ্গে দেশপ্রিয় পার্কের মাঠে দাঁড়ানো তনুশ্রী আচার্য বললেন, ‘‘পুজোর ক’দিন পাড়ার পুজো বাগবাজার ছেড়ে বেরোনো হয় না। তার উপরে তো এ বার বৃষ্টি হবে বলছে। তাই কেনাকাটা করতে এসে এক বার চলে এলাম।’’

এ দিন দুপুর থেকেই ভিড় দেখা গিয়েছে উত্তরের হাতিবাগান বাজার সংলগ্ন হাতিবাগান সর্বজনীন, হাতিবাগান নবীন পল্লি, নলিন সরকার স্ট্রিট এবং শিকদার বাগানের পুজোয়। সেখানেও কেনাকাটার ব্যাগ হাতে মণ্ডপে ঢোকার লাইনে দাঁড়িয়েছেন অনেকে। হাতিবাগান সর্বজনীনের অন্যতম উদ্যোক্তা শাশ্বত বসু বললেন, ‘‘আমাদের পুজোয় বাঁশ পড়ার সময় থেকেই বাজার করতে আসা লোকজন চলে আসেন। আর এখন তো ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে।’’

সব মিলিয়ে তৃতীয়ায় বৃষ্টি কাটিয়ে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটার পাশাপাশি দিনভর চলল মণ্ডপে ঘোরাঘুরি। সন্ধ্যার ভিড় যোগ হতেই যা কার্যত বাঁধ ভাঙল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন