প্রতীকী ছবি।
আদালতের নির্দেশ অগ্রাহ্য করায় মামলার তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল কলকাতার নগর দায়রা আদালত। মুখ্য বিচারক প্রসেনজিৎ বিশ্বাস গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ওই পরোয়ানা জারি করেছেন। বিচারকের নির্দেশ, ১৯ মার্চ তাঁর আদালতে হাজির করাতে হবে সোনালি দাস নামে ওই অফিসারকে।
আদালত সূত্রের খবর, আমহার্স্ট স্ট্রিট এলাকায় ২০১৬ সালে এক কিশোরীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে স্থানীয় যুবক অতনু দাসকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের কাছে ওই কিশোরীর বাবা অভিযোগ জানান, স্কুল থেকে ফেরার সময় তাঁর মেয়েকে ওই যুবক প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। এক দিন রাস্তায় সে কিশোরীর শ্লীলতাহানি করে। প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস বা পকসো আইনে মামলা দায়ের হয় অতনুর বিরুদ্ধে।
পুলিশ জানায়, গত বছর ওই কিশোরী ও তার বাবাকে সাক্ষ্য দেওয়ান সরকারি কৌঁসুলিরা। আদালত তার পরে নির্দেশ দিয়েছিল, তদন্তকারী অফিসার সোনালি দাস-সহ মামলার অন্য সাক্ষীদের আদালতে হাজির হতে হবে। কিন্তু সেই নির্দেশ মানা হয়নি। অন্য সাক্ষীদের হাজির করাননি ওই অফিসার। নিজেও হাজির হননি। তার পরেও আদালত গত বছরে একাধিক বার হাজির হতে নির্দেশ দেয়। তা-ও মানা হয়নি বলে আদালত সূত্রের খবর।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি মামলার তারিখ ছিল। ওই দিনও বিচারক নির্দেশ দিয়েছিলেন, মামলার কেস ডায়েরি ও সাক্ষীদের নিয়ে তদন্তকারী অফিসারকে ১৯ ফেব্রুয়ারি হাজির হতে হবে। ওই দিন শুনানির জন্য মামলাটি উঠলে দেখা যায়, তদন্তকারী অফিসার কেস ডায়েরি নিয়ে হাজির হননি। সাক্ষীরাও গরহাজির। বিচারক ক্ষোভ প্রকাশ করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
কী কারণে হাজির হননি ওই মহিলা অফিসার? সোনালি দাস বুধবার বলেন, ‘‘এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে পারব না। যা বলার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলবেন।’’