ব্যাঁটরায় প্রতিমাশিল্পী খুনে অধরা আততায়ী

প্রৌঢ় প্রতিমাশিল্পীকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় পরিচিত কেউ জড়িত বলে ধারণা পুলিশের। হাওড়ার ব্যাঁটরার এই ঘটনার পিছনে কোনও অবৈধ সম্পর্ক আছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০০:৪০
Share:

প্রৌঢ় প্রতিমাশিল্পীকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় পরিচিত কেউ জড়িত বলে ধারণা পুলিশের। হাওড়ার ব্যাঁটরার এই ঘটনার পিছনে কোনও অবৈধ সম্পর্ক আছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।

Advertisement

বুধবার রাতে দুলাল নন্দী নামে ওই প্রতিমাশিল্পীর রক্তাক্ত দেহ কালাচাঁদ নন্দী লেনে তাঁর বাড়ির শৌচাগার থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতের ঘাড়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশের ধারণা, শৌচাগারের মধ্যে তাঁকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে খুন করে বাড়ির পিছনের দরজা দিয়ে পালায় খুনি। কারণ পরে পুলিশ বাড়ির পিছনে জঙ্গল থেকে একটি রক্তমাখা কাটারি পায়। পুলিশের অনুমান, তা দিয়েই দুলালবাবুকে খুন করা হয়েছে। অস্ত্রটি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, দুলালবাবুরা তিন ভাই। দুলালবাবু দীর্ঘ দিন পায়ের অসুখে ভুগছেন। বেশি হাঁটাচলা করতে পারেন না। প্রতিমা তৈরির পাশাপাশি স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করে কোনও মতে সংসার চালান। বৃহস্পতিবার মৃতের স্ত্রী শম্পাদেবী জানান, বুধবার সন্ধ্যায় তিনি যোগাসন করতে যান। মেয়ে স্বর্ণালী গিয়েছিলেন কম্পিউটার শিখতে। শম্পাদেবীর কথায়, ‘‘বাড়ি ফিরে ওকে খুঁজে না পেয়ে পাশের বাড়ি থেকে এক নিরাপত্তারক্ষীকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির পিছনে বাথরুমে গিয়ে দেখি দরজার নীচ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে। দরজা খুলে দেখি, মেঝেতে পড়ে দেহ।’’ এলাকার বাসিন্দা প্রবীর সাউ বলেন, ‘‘দুলালবাবুর মতো ভাল মানুষ যে খুন হতে পারেন ভাবতেই পারছি না।’’ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, খুনি যে ওই পরিবারের খুব ঘনিষ্ঠ, তা পরিষ্কার। কারণ খুনি জানত, সোম, বুধ, শুক্র শম্পাদেবী ও স্বর্ণালী থাকেন না। বাড়িতে একাই থাকেন অসুস্থ দুলালবাবু। তাই পরিকল্পিত ভাবেই ওই সময়টাকে বেছে নেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘নন্দী পরিবারের ঘনিষ্ঠ কেউ এই খুনের ঘটনায় জড়িত বলে
মনে হয়। অবৈধ সম্পর্কের কারণে এই খুন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিছু সূত্র মিলেছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই সব বলা যাচ্ছে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন