শান্তি: গর্জেও বর্ষায়নি এত দিন। অবশেষে ভিজল শহরের মাটি। রবিবার, ধর্মতলায়। ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী
সারা সপ্তাহের হাপিত্যেশ মিটিয়ে দিল রবিসন্ধ্যা! বিকেল থেকেই দফায় দফায় বৃষ্টি নেমেছে শহরে। ভিজেছে বারাসত থেকে বাগবাজার, সল্টলেক থেকে সালকিয়া। বিকেল থেকে বৃষ্টি নামায় এক লপ্তে তাপমাত্রাও নেমেছে অনেকটা! দিনের অস্বস্তি মিটেছে রাতের সুখনিদ্রায়।
আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, এ সবই স্থানীয় ভাবে তৈরি হওয়া মেঘের কারসাজি। অর্থাৎ পশ্চিমাঞ্চল থেকে বড় মাপের মেঘ বয়ে আসেনি। তাই ঝ়ড়বৃষ্টি হয়নি। রেডার চিত্র বিশ্লেষণ করে আবহবিদেরা জানান, কলকাতা এবং লাগোয়া এলাকায় একাধিক মেঘপুঞ্জ তৈরি হয়েছিল। তা থেকেই দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে।
মে মাসের শেষ দফায় এমনিতেই বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকে। তার ফলে যতটা গরম পড়ে তার চেয়ে বেশি থাকে অস্বস্তি। এ বছর মহানগরী সে ভাবে গরমের মুখে পড়েনি। অর্থাৎ তাপপ্রবাহের জ্বালা সইতে হয়নি। কিন্তু বাড়তি আর্দ্রতার ফলে অস্বস্তি চরমে উঠেছে। ঘাম গায়ে শুকিয়ে সর্দিগর্মিতেও ভুগতে হয়েছে অনেককে। গরমে জ্বালা জুড়োতে বাঙালির আশা কালবৈশাখী। কিন্তু এ বার প্রকৃতির খামখেয়ালে সেই কালবৈশাখীও মহানগরে হাজির হয়নি বললেই চলে।
আবহবিদেরা এ-ও বলছেন, এই স্বস্তি সাময়িক। মেঘ নিশ্চিহ্ন হলেই আজ, সোমবার সকাল থেকে ফের গরম বাড়বে। তাল মিলিয়ে বাড়বে অস্বস্তিও। তবে এর মধ্যে কিছুটা আশার আলো শোনাচ্ছে হাওয়া অফিস। তারা জানাচ্ছে, কাল, মঙ্গলবার ও পরের দিন বুধবার ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।