এটিএম জালিয়াতিতে নতুন করে সক্রিয় ‘গয়া গ্যাং’

পুরনো প্রজন্ম মূলত হাতসাফাই করে এটিএম জালিয়াতির পথ দেখিয়েছিল। নতুন প্রজন্ম সেই কৌশলের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে প্রযুক্তির ব্যবহারও!

Advertisement
শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:৩০
Share:

সিসিটিভিতে ধরা এটিএম জালিয়াতের ফুটেজ। -নিজস্ব চিত্র।

পুরনো প্রজন্ম মূলত হাতসাফাই করে এটিএম জালিয়াতির পথ দেখিয়েছিল। নতুন প্রজন্ম সেই কৌশলের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে প্রযুক্তির ব্যবহারও!

Advertisement

কলকাতা পুলিশ বলছে, এটিএম কার্ড স্কিমিং-কাণ্ডে নতুন করে নেমেছে কুখ্যাত ‘গয়া গ্যাং’। এর আগে এটিএম জালিয়াতি-কাণ্ডে রোমানীয় জালিয়াতদের শায়েস্তা করার পরে এ বার গয়া গ্যাংয়ের জালিয়াতদের নিয়ে চিন্তায় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা।

গোয়েন্দাপ্রধান প্রবীণ ত্রিপাঠী বুধবার জানান, আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় দায়ের হওয়া একটি কার্ড জালিয়াতির মামলায় সুলতান খান নামে এক যুবককে বিহারের গয়া জেলার ফতেপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লালবাজারের খবর, গয়া এটিএম কার্ড জালিয়াতদের মূল ঘাঁটি। সুলতান বয়সে বড় চাঁই। ফতেপুরে তার পেল্লায় বাড়ি। বাড়ির দোতলা থেকে একতলার পাশের খোলা ছাদে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেও সে পুলিশের নাগাল এড়াতে পারেনি।

Advertisement

কয়েক বছর আগে কলকাতার বিভিন্ন রক্ষীবিহীন এটিএমের এক দল যুবক কি-প্যাডে আঠা লাগিয়ে মেশিন বিকল করে গ্রাহকদের টাকা হাপিস করে দিচ্ছিল। তখনই পুলিশ গয়ার বাসিন্দা ওই জালিয়াত তথা ‘গয়া গ্যাং’ সম্পর্কে জানতে পারে।

গোয়েন্দা সূত্রের খবর, এ বারে আমহার্স্ট স্ট্রিটের মামলাটির তদন্তে নামে লালবাজারের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখার ওসি নীলকণ্ঠ রায়ের নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল। এটিএম কাউন্টারের সিসিটিভি ফুটেজ এবং সোর্স মারফত অভিযুক্তেরা চিহ্নিত হয়। কয়েক দিন আগে সুরিন্দর সিংহ নামে এক অভিযুক্তকে ধরার পরে পুলিশ সুলতানের কথা জানতে পারে। পুলিশ জানাচ্ছে, এরাও বিভিন্ন রক্ষীহীন কাউন্টারের যন্ত্রে কাঠি গুঁজে কি-প্যাড বিকল করে রাখছে। তার ফলে এটিএম কার্ড ঢোকালেও লেনদেন করা যায় না। জালিয়াতেরা বৃদ্ধ কিংবা এটিএম ব্যবহারে অনভ্যস্ত লোককে সাহায্যের জন্য এগিয়ে যায়। গ্রাহকের কার্ডটি নেড়েচেড়ে দেখার সময় হাতের তালুতে লুকনো কপিয়ার মেশিনে কার্ড ঘষে সব তথ্য নকল করে নেয়। সুযোগ বুঝে কি-প্যাড থেকে কাঠিটি সরিয়ে

দিয়ে গ্রাহকের লেনদেনের পিন নম্বর দেখে নেয়। তার পরে কপিয়ারে থাকা কার্ডের তথ্য বাজারচলতি ফাঁকা ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ কার্ডের পিন দিয়ে টাকা তুলে নেয়।

লালবাজারের খবর, গয়া গ্যাংয়ের জালিয়াতেরা রাত ১২টার কিছু আগে-পরে টাকা তুলত। কারণ, দৈনিক টাকা তোলার লেনদেনের নির্দিষ্ট সীমা আছে। রাত ১২টার কয়েক মিনিট আগে পরে তুললে অল্প সময়ের ব্যবধানে দুই দিনের সর্বোচ্চ টাকা তুলে নেওয়া যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন