প্রতীকী চিত্র
ব্যাঙ্কের এটিএমে স্কিমিং যন্ত্র বসিয়ে ফের গ্রাহকদের তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। এ বারও সেই জালিয়াতিতে গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়েছে তিন রোমানীয় যুবক। পুলিশ জানিয়েছে, একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অভিযোগের ভিত্তিতে এক জনকে কলকাতা থেকে এবং অপর দু’জনকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের চিফ ম্যানেজার রথীশকুমার সিংহ। তিনি তাঁর অভিযোগে জানান, মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ১২ এপ্রিলের মধ্যে ব্রেব্রোর্ন রোডের প্রায় ১২টি এটিএমে স্কিমিং যন্ত্র বসিয়ে গ্রাহকদের তথ্য হাতানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, একটি এটিএম থেকে তাঁদের কর্মীরা স্কিমিং যন্ত্র উদ্ধারও করেছেন। পাশাপাশি, পিন-হোল এবং সিসি ক্যামেরাতেও ধরা পড়েছে ঘটনাটি।
ব্যাঙ্কের অভিযোগ পাওয়ার পরে লালবাজারের ব্যাঙ্ক-প্রতারণা বিভাগও ওই সমস্ত এটিএমের উপরে নজর রাখতে শুরু করে।
আর তখনই পুলিশ খেয়াল করে, এক বিদেশি নাগরিক ট্যাক্সি থেকে নেমে এটিএমে ঢুকে স্কিমিং যন্ত্র খুলছে। তাকে ধরার পরে জানা যায়, সে রোমানিয়ার নাগরিক। নাম ওপিয়ান দারিউ। ওই যুবক জানায়, সে ও তার সঙ্গী অ্যাড্রিয়ান লুপু
মিলে এই কাজ করেছে। তারা দু’জনে যোধপুর পার্কের একটি গেস্ট হাউসে উঠেছে। সেই গেস্ট হাউসে অবশ্য অ্যাড্রিয়ানকে পায়নি পুলিশ। পুলিশ জানতে পারে, পার্ক স্ট্রিটে ওই একই ব্যাঙ্কের আরও একটি এটিএমে স্কিমার বসানো হয়েছিল। তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, আরও দুই রোমানীয় এর সঙ্গে যুক্ত। তবে তারা দিল্লিতে পালিয়ে গিয়েছে। এর পরেই পুলিশের একটি দল দিল্লি গিয়ে দ্বারকা থেকে ওই দুই রোমানীয়কে গ্রেফতার করে। তাদের নাম পাপুয়া রবার্ট জর্জ এবং ম্যারিয়ানু এলিয়ন। ট্রানজিট রিমান্ডে তাদের কলকাতায় আনা হচ্ছে।
অন্য দিকে, দমদম ক্যান্টনমেন্ট এলাকার একটি ফ্ল্যাট বারবার বন্ধক রেখে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার ঘটনায় আরও তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার শিয়ালদহ আদালতে ওই তিন জনকে তোলা হয়। সরকারি কৌঁসুলি অরূপ চক্রবর্তী জানান, তিন জনকেই পাঁচ মে পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। চলতি সপ্তাহেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ভুয়ো নথি দেখিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা প্রতারণার মামলায় অশোক চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তদন্তকারীদের দাবি, ওই দু’টি ঘটনার যোগ রয়েছে।