ছবি: সংগৃহীত।
চলমান সিঁড়ি এমন ভাবে খারাপ হয়েছে যে মেট্রোর ইঞ্জিনিয়ারেরাই বুঝে উঠতে পারছেন না তা কী ভাবে সারানো হবে!
ফলে দমদমের চলমান সিঁড়িটি আদৌ ঠিক করা যাবে কি না, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েই। সিঁড়িটি গত দু’মাস ধরে খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই। মেট্রো কর্তাদের কেউ কেউ বলছেন, এমন ভাবেই সেটি খারাপ হয়েছে যে কী ভাবে সারানো হবে বুঝে ওঠাই মুশকিল হচ্ছে। এ বার ওই সিঁড়ি মেরামতের জন্য অবশেষে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। তবে পুজোর আগেও সিঁড়িটি আদৌ চলবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে সকাল-সন্ধ্যা মিলিয়ে দমদমে যাত্রীর সংখ্যা হয় প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ। এটি অন্যতম প্রান্তিক স্টেশনও বটে। এই রকম গুরুত্বপূর্ণ একটি স্টেশনে গত দু’মাস ধরে বেলগাছিয়া প্রান্তের চলমান সিঁড়িটি খারাপ হয়ে পড়ে থাকার পরেও কতৃর্পক্ষ কেন কোনও ব্যবস্থা নিতে পারলেন না, সে প্রশ্ন উঠেছে মেট্রোর অন্দরেই। দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পরে সম্প্রতি চালু হয়েছে চাঁদনি চকের চলমান সিঁড়িটি। তবে মাঝেমধ্যেই সেটি বন্ধ রাখা হয়। বুধবারও কিছু সময়ের জন্য সেটি বন্ধ ছিল। দুপুরে ফের চালু হয়।
সিঁড়িগুলি বন্ধ থাকায় যাত্রীদের একটি বিরাট অংশ বাধ্য হচ্ছেন কোথাও ১০০টি, কোথাও আবার ৮৫টি সিঁড়ি ভেঙে প্ল্যাটফর্মে উঠতে। বিশেষ করে বয়স্ক যাত্রীদের কাছে বিষয়টি যন্ত্রণাদায়ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভিযোগ, মেট্রো কতৃর্পক্ষ সিঁড়ি সারানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে জানালেও গত দু’মাস ধরে খোলাই পড়ে রয়েছে সিঁড়ির যন্ত্রাংশগুলি। সেখানে কাউকেই কাজ করতে দেখা যাচ্ছে না।
যাত্রী পরিষেবা দেওয়া নিয়ে মেট্রোর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের। সিঁড়ি থেকে শুরু করে ট্রেন, নিত্যই কোনও না কোনও বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে যাত্রীদের। ইদানীং ট্রেনগুলি সুড়ঙ্গের মাঝপথে থামছে না ঠিকই, কিন্তু বেশির ভাগ দিনই সময়ে চলছে না ট্রেন। এর জেরে মাঝেমধ্যেই এক একটি মেট্রোতে একাধিক ট্রেনের ভিড় আছড়ে পড়ছে। পুজোর সময়ে এমনিতেই ভিড় বাড়ে মেট্রোতে। এবারও গত পনেরো ধরে দিন ভিড় বেশ বেড়েছে। এর মধ্যে কোনও ট্রেন দেরিতে এলে উপচে পড়ছে যাত্রীর ভিড়।
এ বছরের প্রথমে কবি সুভাষ স্টেশনের একটি চলমান সিঁড়ি উল্টো দিকে চলতে শুরু করায় কয়েক জন যাত্রী আহত হয়েছিলেন। তারপরেই মেট্রো কতৃর্পক্ষ চলমান সিঁড়িগুলি নিয়মিত দেখভাল করার জন্য এক বার সাময়িক, ও এক বার পুরোপুরি মেরামত করা হবে বলে জানান।