অসুস্থ বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথে অটোচালকের দাদাগিরি ও মারধরের শিকার হওয়ার অভিযোগ তুললেন এক যুবক। মঙ্গলবার সকালে কামারহাটির ঘটনা। ওই অটোচালকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই যুবক।
ব্যারাকপুরের ডেপুটি কমিশনার (জোন-২) আনন্দ রায় বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তও শুরু হয়েছে।’’ তবে তদন্তকারীদের দাবি, ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা অভিযুক্ত অটোচালক।
পুলিশ সূত্রের খবর, বেলঘরিয়া ৪ নম্বর রেল গেট এলাকার বাসিন্দা তমাল ভৌমিক এ দিন সকালে তাঁর বাবা নীলরতন ভৌমিককে নিয়ে কামারহাটি ইএসআই হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। উচ্চ রক্তচাপের কারণে নীলরতনবাবুর নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছিল। সাইকেলে চাপিয়ে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন তমাল। অভিযোগ, বিটি রোড দিয়ে যাওয়ার সময়ে কামারহাটি মোড়ে সিগন্যালের কাছে ব্যারাকপুরমুখী একটি খালি অটো তাঁদের পিছনে এসে আচমকা ব্রেক কষায় ধাক্কা লাগে সাইকেলে। রাস্তায় ছিটকে পড়েন বাবা-ছেলে। অভিযোগ, কেন তিনি এ ভাবে ব্রেক কষলেন তা জানতে চাওয়ায় খেপে যান অটোচালক। প্রথমে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন তমালকে। কিন্তু ফের উঠে তমাল প্রতিবাদ করলে শুরু হয় কথা কাটাকাটি।
পুলিশকে তমাল জানিয়েছেন, ‘‘তুই এখান থেকে যাবি, না হলে মেরে ফেলব’’— বলে তাঁকে হুমকি দেন ওই অটোচালক। এর পরে গলা টিপে ধরে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। তমাল বলেন, ‘‘আরও কয়েকজন চালককে ডাকেন ওই অটোচালক। তাঁরাও এসে যোগ দিলে সকলে মিলে মারতে শুরু করে। বাবা আমাকে বাঁচাতে এলে তাঁকেও মারধর করা হয়। কোনওমতে দু’জনে পালিয়ে হাসপাতালে ঢুকে প্রাণে বেঁচেছি।’’ এর পরে কামারহাটি সাগর দত্ত হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করান তমাল ও তাঁর বাবা।
পরে বেলঘরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তমাল। বেসরকারি সংস্থার প্রাক্তন কর্মী নীলরতনবাবু বলেন, ‘‘ভদ্র ভাবেই ওই চালককে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তিনি কেন বাজে ভাবে ব্রেক কষে দাঁড়ালেন। কিন্তু তার জন্য মার খেতে হবে ভাবিনি।’’ কামারহাটির চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) বিমল সাহা বলেন, ‘‘এমন ঘটে থাকলে দোষীর উপযুক্ত শাস্তি হওয়া দরকার।’’
কামারহাটি-ব্যারাকপুর ভায়া ডানলপ রুটে চলে ওই অটোটি। ওই রুটের অটোর দেখভালের দায়িত্বে থাকা নইম খান বলেন, ‘‘এমন ঘটনা আমরা বরদাস্ত করি না। দোষ প্রমাণ হলে কড়া শাস্তি পেতে হবে। অটোর মালিককে বলা হয়েছে চালকের খোঁজ এনে দিতে।’’