জাতীয় সড়কে লরি খারাপ হলে সঙ্গে সঙ্গে ১০০ ডায়াল করে জানান। অযথা রাস্তার ধারে পার্কিং করে অন্যের বিপদ ডেকে আনবেন না। কিংবা বারো ঘণ্টার বেশি কখনওই কারও গাড়ি চালানো উচিত নয়। এমনই বিভিন্ন কথা চালকদের জানাচ্ছেন পুলিশকর্তারা। আর উর্দিধারীদের থেকে এ সব শুনে লরি, পুলকার ও বাস, অটো, ট্যাক্সি চালকেরা স্বীকার করে নিচ্ছেন, এর অনেক কিছুই জানতেন না তাঁরা।
রাজ্য জুড়ে পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ উদ্যাপনে শুধু পদযাত্রা কিংবা স্কুলের পড়ুয়াদের হাতে পোস্টার নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকাতেই সীমাবদ্ধ থাকছেন না হাওড়া সিটি পুলিশ। ওই সবের পাশাপাশি তাঁরা জোর দিয়েছেন চালকদের প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা বৃদ্ধির উপরেও। তাই এলাকার বাস, অটো, লরি, ট্যাক্সি চালকদের নিয়ে সেমিনারের পাশাপাশি চলন্ত গাড়ি থামিয়ে চালককে প্রশ্ন করে তার সম্পর্কে বুঝিয়েও দিচ্ছেন পুলিশকর্তারা। পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ উপলক্ষে একটি আলোকচিত্রের প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়েছে।
যেমন, বৃহস্পতিবার সকালে বালি ট্র্যাফিক গার্ড, বেলুড় থানার পুলিশ জিটি রোড দিয়ে যাওয়া চালকদের বোঝাচ্ছিলেন ওভারটেক করলে কী হয়, কেন হেলমেট পরা দরকার-সহ ট্র্যাফিকের খুঁটিনাটি বিষয়। যাঁরা ট্র্যাফিক নিয়ম ভাঙছিলেন, তাঁদের গাড়িতে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’-এর স্টিকার সেঁটে দিচ্ছিল পড়ুয়ারা। আবার বালি রবীন্দ্র ভবনে চালকদের নিয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বের আয়োজন করেছিল বালি থানা। তবে জিটি রোডের থেকে জাতীয় সড়কের দুর্ঘটনার প্রবণতা ও সংখ্যা যেহেতু বেশি, তাই নিশ্চিন্দা থানা ও বালি ট্র্যাফিকের তরফে সমস্ত মালবাহী গাড়ির চালকদের বোঝানো হল জাতীয় সড়কের ভালোমন্দ। অন্য দিকে শিবপুর ট্র্যাফিক গার্ডও আয়োজন করেছিল বিভিন্ন সচেতনতা শিবির। সমস্ত থানা এলাকাতে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী ট্র্যাফিক সচেতনতার ক্যাম্পও। সেখান থেকেই চালকদের সচেতনার পাঠ দিচ্ছেন পড়ুয়ারাও।