ফাইল চিত্র।
মেট্রোর সুড়ঙ্গপথ গঙ্গা-প্রবেশ করেছিল দিন তিনেক আগেই। এ ক’দিনে মাটি কাটার যন্ত্র টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম) গঙ্গার নীচ দিয়ে কলকাতার দিকে এগিয়েছে আরও ৬৩ মিটার। এখন সুড়ঙ্গের উপর দিয়েই বয়ে চলেছে ভরা গঙ্গা। সোমবার সেই ভরা গঙ্গাকে মাথায় রেখেই হাওড়া ময়দান থেকে পায়ে হেঁটে সুড়ঙ্গের শেষ প্রান্তে পৌঁছলেন কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প দফতরের প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। সেখান থেকে দু’টি রুপোর কৌটোয় ভরে আনলেন ‘পবিত্র’ মাটি। জানালেন, এই কৌটোর একটি তিনি দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। আর একটি নিজের বাড়ি নিয়ে যাবেন।
এ দিন বেলা ১১টার সময়ে বাবুল হাওড়া ময়দানে আসেন মেট্রোর কাজের অগ্রগতি দেখতে। সে জন্য সকাল থেকেই ছিল হাওড়া ময়দানে নির্মীয়মাণ মেট্রো রেল এলাকায় সাজসাজ রব। সকালেই পৌঁছে গিয়েছিলেন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর নির্মাণকারী সংস্থা কলকাতা মেট্রোরেল কর্পোরেশন লিমিটেড (কেএমআরসিএল)-এর পদস্থ কর্তারা। মেট্রোর ‘ক্রস ওভার’ যেখানে অর্থাৎ, মাটির নীচে ময়দান স্টেশনের আগে যে জায়গায় মেট্রো লাইন পরিবর্তন করবে, ঠিক তার উপরেই মন্ত্রীর বসার জন্য তৈরি করা হয়েছিল ছোট একটা মঞ্চ। মন্ত্রী সুড়ঙ্গে প্রবেশের ছবি যাতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার মাধ্যমে মাটির উপরে থাকা মেট্রোর ইঞ্জিনিয়ার, কর্মী ও সাংবাদিকেরা দেখতে পান, সে জন্য মঞ্চে লাগানো হয়েছিল একটি বড় এলসিডি টিভি।
এ দিন মঞ্চে আসার পরেই নিয়ম অনুযায়ী পরতে দেওয়া হয় সেফটি হেলমেট, বিশেষ জুতো এবং জ্যাকেট। এর পরে কেএমআরসিএল-এর কয়েক জন পদস্থ কর্তা ও ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে লোহার অস্থায়ী সিঁড়ি দিয়ে মাটির ৭০ ফুট নীচে সুড়ঙ্গে নেমে যান বাবুল। প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে সুড়ঙ্গ থেকে ঘেমে-নেয়ে উঠে আসেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘‘মাটির ৩০ মিটার নীচ দিয়ে গঙ্গার ৬৩ মিটার গভীর পর্যন্ত আমরা গিয়েছিলাম। এতটা পথ খুব নির্বিঘ্নেই পেরিয়েছে মেট্রো। এই পথের মধ্যে ডিআরএম বিল্ডিং-এর মতো শতাধিক বছরের পুরনো বিল্ডিং ছিল। কিন্তু কিছুই সমস্যা হয়নি।’’ তখনই মন্ত্রী জানান, মেট্রোর এক ইঞ্জিনিয়ার দু’টি কৌটো করে গঙ্গার মাটি এনে তাঁকে দিয়েছেন। একটি কৌটো দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রীকে, অন্যটি বাড়ি নিয়ে যাবেন তিনি।