প্রতীকী ছবি।
স্নানঘরের পাশেই খেলছিল যমজ দুই শিশু। সম্পর্কে ভাই-বোন।
কাছেই ছিলেন বাবা। তিনি নিজের কাজে ব্যস্ত। হঠাৎই পাশের ঘরে থাকা মায়ের কোলে গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে বছর দেড়েকের ছোট্ট মেয়েটি। মেয়ের চোখেমুখ দেখে মা আঁচ করেছিলেন, কিছু একটা হয়েছে! ঘর থেকে দৌড়ে স্নানঘরের দিকে যেতেই চোখে পড়ে, একটি বালতির ভিতরে উপুড় হয়ে পড়ে রয়েছে তাঁর বছর দেড়েকের ছেলেটি। পা দু’টি উপরের দিকে। সে দুটো একনাগাড়ে নড়ছিল!
সঙ্গে সঙ্গে বালতি থেকে তুলেও শেষ রক্ষা হয়নি। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রবিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে মেটিয়াবুরুজ থানার ব্রাহ্মসমাজ রোড এলাকায়। মৃতের নাম রাজগোপাল বেহেরা। তার বয়স ১ বছর ৩ মাস।
আরও পড়ুন: পরীক্ষা রইল বাকি, পথেই মৃত্যু ছাত্রের
পুলিশ জানিয়েছে, ব্রাহ্ম সমাজের একটি আবাসনে দুই ছেলে, এক মেয়ে এবং স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স-এর কর্মী নারায়ণ বেহেরা। ওই দিন সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে স্নানঘরের কাছেই একটি খেলনা গাড়ি মেরামতির কাজ করছিলেন তিনি। দু’কামরার ছোট্ট ঘরে এমনিতেই ঘুরে বেড়ায় বাচ্চারা। সে দিনও রাজগোপাল ও তার বোন একসঙ্গেই ছিল। হঠাৎই কোনও ভাবে দুর্ঘটনা ঘটে বলে পরিবারের দাবি।
পুলিশ জানিয়েছে, ওটা আসলে ২০ লিটারের একটি রঙের বালতি ছিল। যার পুরোটা আবার জলে ভর্তি ছিল না। নারায়ণের দাবি, বালতি থেকে ছেলেকে তোলার পরেও সে বেঁচে ছিল। পরে হাসপাতালে মারা যায়।