Hindu hostel

Hostels Condition: হস্টেলের দুরবস্থা দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে

রবিবার রাতে শিবপুর আইআইইএসটি-র ১১ নম্বর হস্টেলের ছাদ থেকে চাঙড় ভেঙে পড়েছিল। আবাসিকদের অভিযোগ, অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন এক পড়ুয়া।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২২ ০৮:১০
Share:

হিন্দু হস্টেল ফাইল ছবি

কোথাও হস্টেলের ছাদ থেকে চাঙড় ভেঙে পড়ছে। কোথাও পানীয় জলের সঙ্কট। রাজ্যের দুই নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের এমনই অভিযোগ।

Advertisement

রবিবার রাতে শিবপুর আইআইইএসটি-র ১১ নম্বর হস্টেলের ছাদ থেকে চাঙড় ভেঙে পড়েছিল। আবাসিকদের অভিযোগ, অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন এক পড়ুয়া। যদিও একটি ল্যাপটপ ভেঙে গিয়েছে। পড়ুয়ারা এর পরে রাতেই অধিকর্তা পার্থসারথি চক্রবর্তীর বাংলোর সামনে যান। আবাসিকদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান হয়ে যাওয়ার পর থেকে আইআইইএসটি বড় অঙ্কের কেন্দ্রীয় সাহায্য পায়। পড়ুয়ারাও হস্টেলে থাকার জন্য টাকা দেন। তার পরেও হস্টেলের এমন অবস্থা হবে কেন? ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনসংযোগ আধিকারিক নির্মাল্য ভট্টাচার্য সোমবার জানিয়েছেন, দু’দিনের মধ্যেই হস্টেলের ওই অংশ মেরামত করে দেওয়া হবে।

এ দিকে, হিন্দু হস্টেলের দু’টি জলের ফিল্টারই খারাপ বলে অভিযোগ আবাসিকদের। অভিযোগ, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বার বার বলেও কাজ হয়নি। আবাসিকেরা জানিয়েছেন, রাতবিরেতে পানীয় জলের সন্ধানে তাঁদের যেতে হচ্ছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটে। বন্ধ গেটের বাইরে তাঁরা দাঁড়িয়ে থাকেন। ভিতর থেকে রক্ষীরা বোতলে জল ভরে এনে দেন। তাঁদের অভিযোগ, বার বার বলা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ জলের ব্যবস্থা করেননি। এ দিন অভিযোগ পেয়ে ডিন অব স্টুডেন্টস হস্টেলে গিয়ে বিষয়টি দেখেন। এর পরে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এখন দু’টি ফিল্টার থেকেই জল মিলছে বলে খবর। এ নিয়ে ডিন অব স্টুডেন্টস অরুণ মাইতিকে ফোন এবং মেসেজ করেও কথা বলা যায়নি। হস্টেলে ভর্তি-সহ বিভিন্ন দাবিতে এ দিন বিকেলের দিকে প্রেসিডেন্সির ডিন অব স্টুডেন্টসের দফতরের সামনে পড়ুয়ারা অবস্থান শুরু করেন।

Advertisement

করোনার সময় থেকে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি হিন্দু হস্টেলও বন্ধ ছিল। পরে বিশ্ববিদ্যালয় খুললেও কর্তৃপক্ষ এখনও খাতায়-কলমে হস্টেল খোলেননি। আবাসিকেরা হস্টেল খোলার জন্য টানা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পরে গত মার্চ মাসে জোর করেই হস্টেলে ঢুকে পড়েছিলেন। সরকারি ভাবে হস্টেল খোলা হবে কি না, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও রকম বিজ্ঞপ্তি কর্তৃপক্ষ জারি করেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement