আট বছর ধরে চেন্নাইয়ের একটি গাড়ির কারখানায় কাজ করছিলেন বালির এক যুবক। হঠাৎ খবর এল, অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এই আকস্মিক মৃত্যুতে রহস্য দেখছে তাঁর পরিবার। তাঁরা ইতিমধ্যে বালি থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করার সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেছেন বলে রবিবার জানান ওই যুবকের বাবা।
পুলিশ জানায়, মৃতের নাম বলরাম পাণ্ডা (৩০)। তাঁর বাড়ি বালির শান্তিরাম রোডে। রুজিরোজগারের ধান্দায় বেশ কিছু দিন আগে দক্ষিণ ভারত পাড়ি দেন তিনি। শেষ সাত-আট বছর কাজ করছিলেন চেন্নাইয়ের একটি মোটরগাড়ির কারখানায়। গত মঙ্গলবার বাবা প্রদীপ পাণ্ডাকে ফোনে বলরাম জানান, কারখানায় কাজ করতে করতে মেশিনে তাঁর বাঁ হাতের তিনটি আঙুল কাটা গিয়েছে। প্রদীপবাবু বলেন, ‘‘দুর্ঘটনার খবর দেওয়ার পরেই ছেলে জানায়, চিকিত্সার খরচ এবং ক্ষতিপূরণ দাবি করে কারখানার কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেবে সে।’’ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলেও বাবাকে জানান বলরাম।
এ-পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু প্রদীপবাবু জানান, শুক্রবার সকাল থেকে বলরামের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। সে-দিনই বিকেলে চেন্নাই পুলিশ ফোনে প্রদীপবাবুর বাড়িতে জানান, চেন্নাইয়ের আম্মাপুর রেল স্টেশনের কাছে বলরামের দেহ পাওয়া গিয়েছে। তাঁর দুই ভাই জগন্নাথ ও রাজেন্দ্র চেন্নাই রওনা হয়ে গিয়েছেন। তাঁরা ফিরলেই বালি থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানান প্রদীপবাবু।