কাটা ফল বিক্রি বন্ধে অভিযান

খোলা অবস্থায় কাটা ফলের বিক্রি রুখতে বৃহস্পতিবার ধর্মতলা চত্বরে অভিযান শুরু করল পুরসভা। তবে প্রথম দিনের অভিযানে কিছু ফাস্টফুডের দোকানে আজিনামোতোর ব্যবহার নজরে এসেছে পুর-প্রশাসনের। তড়িঘড়ি তা ফেলে দেয় পুরসভার দল। অভিযানে সামিল স্বাস্থ্য দফতরের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ বলেন, ‘‘শহরে যে হারে আজিনামোতো ব্যবহার হচ্ছে, তা চিন্তার।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৫ ০০:৩০
Share:

নির্দেশ সত্ত্বেও এ ভাবে বিকিকিনি। বৃহস্পতিবার। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।

খোলা অবস্থায় কাটা ফলের বিক্রি রুখতে বৃহস্পতিবার ধর্মতলা চত্বরে অভিযান শুরু করল পুরসভা। তবে প্রথম দিনের অভিযানে কিছু ফাস্টফুডের দোকানে আজিনামোতোর ব্যবহার নজরে এসেছে পুর-প্রশাসনের। তড়িঘড়ি তা ফেলে দেয় পুরসভার দল। অভিযানে সামিল স্বাস্থ্য দফতরের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ বলেন, ‘‘শহরে যে হারে আজিনামোতো ব্যবহার হচ্ছে, তা চিন্তার।’’ তিনি জানান, তার যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধ করতেই হবে। এ নিয়ে অভিযানে নামবেন প্রতিটি বরো-কর্তৃপক্ষ। সহায়তা করবে পুলিশও।

Advertisement

পুরসভা সূত্রে খবর, এ দিন দুপুরে পুর-ভবন থেকে স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল নিউ মার্কেট, এস এন ব্যানার্জি রোড-সহ ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ডের বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালায়। একটি দোকানে বিরিয়ানিতে মেশানো ক্ষতিকারক রং ধরা পড়লে তা ফেলে দেওয়া হয়। অতীনবাবু জানান, প্রতিটি খাবারের দোকানকে রং না মেশাতে বলা হয়েছে। এ বার থেকে শহরের সর্বত্র নিয়মিত অভিযান চলবে। খাবারে রাসায়নিক বা ক্ষতিকারক রং মেশানো হলে সংশ্লিষ্ট দোকান-মালিকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রথম দিন বলে যাঁরা কাটা ফল খোলা অবস্থায় বিক্রি করছিলেন, এ দিন তাঁদের সতর্ক করা হয়েছে। অতীনবাবু জানান, গত কয়েক দিনে পুরসভার তরফে দোকানদারদের কাটা ফলের বিরুদ্ধে সচেতন করা হয়েছে। ফল ঢেকে বিক্রি করতে বলা হয়েছে। এ দিন অভিযানের খবর পেয়ে কিছু দোকানদার পালান। কয়েক জন আবার অভিযান শেষের পরে ফের বিক্রি শুরু করেন। এক পুর-আধিকারিক জানান, এর পর থেকে না জানিয়েই অভিযান চালানো হবে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন