সচেতনতায় উজ্জ্বল একা সেই বাঙুরই

একটা সময় ছিল, যখন বৃষ্টি হলে জলের তলায় চলে যেত বাঙুর। প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করে সেই বাঙুরই এখন জল জমার সমস্যা থেকে মুক্ত। দোকান-বাজারে প্লাস্টিক ছাড়াই দিব্যি বিকিকিনি চলছে।

Advertisement

সৌরভ দত্ত

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৮ ০২:৪১
Share:

বাঙুরের বাজারে প্লাস্টিকের প্রবেশ নিষেধ। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

দূরত্ব খুব বেশি নয়। যশোর রোডের এ পার-ও পার। তাতেই বদলে গিয়েছে ছবিটা। প্লাস্টিক বন্ধের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বাঙুর যেখানে ১৭ বছর পরেও পথ দেখাচ্ছে, সেখানে একই পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সারদাপল্লি এক পুকুর প্লাস্টিকের ভারে জর্জরিত। লেক টাউন, জপুর, কালিন্দীতে আস্ত মাঠ গিলে ফেলেছে প্লাস্টিক। বস্তুত, ১৭ বছরে আর একটি বাঙুরের প্রাপ্তি এখনও অধরা দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায়।

Advertisement

একটা সময় ছিল, যখন বৃষ্টি হলে জলের তলায় চলে যেত বাঙুর। প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করে সেই বাঙুরই এখন জল জমার সমস্যা থেকে মুক্ত। দোকান-বাজারে প্লাস্টিক ছাড়াই দিব্যি বিকিকিনি চলছে। ‘এ’ ব্লকের বাসিন্দা মৃত্তিকা প্রধানের কথায়, ‘‘প্লাস্টিক ছাড়া চলাটাই এখন আমাদের অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে।’’ অথচ, উল্টো দিকের সারদাপল্লির পুকুরে দেখা গেল, জলে ভাসছে প্লাস্টিকের ব্যাগ, বোতল, কাপ-সহ নানা জঞ্জাল। পরিণাম? স্থানীয় বাসিন্দা মুনমুন কুন্ডু বললেন, ‘‘গত বছর খুব ডেঙ্গি হয়েছিল। বৃষ্টি হলে হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়ে যায়।’’ বাঙুরের পাম্প হাউসে বাঙুর, গোলাঘাটা, লেক টাউনের নিকাশির জল পাম্প করে খালে ফেলা হয়। পুরসভা সূত্রের খবর, সেখানে প্রতিদিন বস্তা বস্তা প্লাস্টিক উদ্ধার করেন সাফাইকর্মীরা।

দক্ষিণ দমদম পুরসভার এক কর্তার বক্তব্য, পুর এলাকায় খোলা নর্দমা নেই বললেই চলে। লেক টাউনের রাস্তাঘাট ঝাঁ চকচকে হলেও বণিকপাড়ার জলাশয়ের পাড় ভরে আছে প্লাস্টিকে। জপুরে পাম্প হাউস তৈরির পাঁচিল ঘেরা জমিতে বর্জ্য প্লাস্টিকের মধ্যে জমে রয়েছে বৃষ্টির জল।

Advertisement

অথচ, প্রতি বছরই প্লাস্টিক বন্ধে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নানা কর্মসূচি পালন করেন শাসকদলের জনপ্রতিনিধিরা। প্লাস্টিক বন্ধে ব্যর্থতার ক্ষেত্রে সচেতনতার অভাব একটি বড় কারণ বলে মনে করেন পুর আধিকারিকেরা। তাঁদের বক্তব্য, ২০০১ সালে বাঙুরবাসী একযোগে প্লাস্টিক ব্যবহারের বিরোধিতা করার পরেই সাফল্য এসেছে। ঘটনাচক্রে, বাঙুরের তৎকালীন তৃণমূল কাউন্সিলর মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য এখন যে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি, সেই ওয়ার্ডে কালিন্দীর শিশু তীর্থের মাঠ এখন প্লাস্টিক-তীর্থ। তবে কি বাঙুর ব্যতিক্রম?

মৃগাঙ্কবাবু বলেন, ‘‘কালিন্দীতেও প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে সক্রিয় হয়েছি।’’ তাঁর মন্তব্য, ‘‘পুরসভার অন্য ওয়ার্ডের তুলনায় বাঙুরের সামাজিক চরিত্র আলাদা। অন্য ওয়ার্ডের কাউন্সিলরেরাও আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। আমি বলব, নাগরিকেরা নিজেদের কথা ভেবে প্লাস্টিক বর্জন করুন।’’দূরত্ব খুব বেশি নয়। যশোর রোডের এ পার-ও পার। তাতেই বদলে গিয়েছে ছবিটা। প্লাস্টিক বন্ধের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বাঙুর যেখানে ১৭ বছর পরেও পথ দেখাচ্ছে, সেখানে একই পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সারদাপল্লি এক পুকুর প্লাস্টিকের ভারে জর্জরিত। লেক টাউন, জপুর, কালিন্দীতে আস্ত মাঠ গিলে ফেলেছে প্লাস্টিক। বস্তুত, ১৭ বছরে আর একটি বাঙুরের প্রাপ্তি এখনও অধরা দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায়।

একটা সময় ছিল, যখন বৃষ্টি হলে জলের তলায় চলে যেত বাঙুর। প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করে সেই বাঙুরই এখন জল জমার সমস্যা থেকে মুক্ত। দোকান-বাজারে প্লাস্টিক ছাড়াই দিব্যি বিকিকিনি চলছে। ‘এ’ ব্লকের বাসিন্দা মৃত্তিকা প্রধানের কথায়, ‘‘প্লাস্টিক ছাড়া চলাটাই এখন আমাদের অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে।’’ অথচ, উল্টো দিকের সারদাপল্লির পুকুরে দেখা গেল, জলে ভাসছে প্লাস্টিকের ব্যাগ, বোতল, কাপ-সহ নানা জঞ্জাল। পরিণাম? স্থানীয় বাসিন্দা মুনমুন কুন্ডু বললেন, ‘‘গত বছর খুব ডেঙ্গি হয়েছিল। বৃষ্টি হলে হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়ে যায়।’’ বাঙুরের পাম্প হাউসে বাঙুর, গোলাঘাটা, লেক টাউনের নিকাশির জল পাম্প করে খালে ফেলা হয়। পুরসভা সূত্রের খবর, সেখানে প্রতিদিন বস্তা বস্তা প্লাস্টিক উদ্ধার করেন সাফাইকর্মীরা।

দক্ষিণ দমদম পুরসভার এক কর্তার বক্তব্য, পুর এলাকায় খোলা নর্দমা নেই বললেই চলে। লেক টাউনের রাস্তাঘাট ঝাঁ চকচকে হলেও বণিকপাড়ার জলাশয়ের পাড় ভরে আছে প্লাস্টিকে। জপুরে পাম্প হাউস তৈরির পাঁচিল ঘেরা জমিতে বর্জ্য প্লাস্টিকের মধ্যে জমে রয়েছে বৃষ্টির জল।

অথচ, প্রতি বছরই প্লাস্টিক বন্ধে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নানা কর্মসূচি পালন করেন শাসকদলের জনপ্রতিনিধিরা। প্লাস্টিক বন্ধে ব্যর্থতার ক্ষেত্রে সচেতনতার অভাব একটি বড় কারণ বলে মনে করেন পুর আধিকারিকেরা। তাঁদের বক্তব্য, ২০০১ সালে বাঙুরবাসী একযোগে প্লাস্টিক ব্যবহারের বিরোধিতা করার পরেই সাফল্য এসেছে। ঘটনাচক্রে, বাঙুরের তৎকালীন তৃণমূল কাউন্সিলর মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য এখন যে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি, সেই ওয়ার্ডে কালিন্দীর শিশু তীর্থের মাঠ এখন প্লাস্টিক-তীর্থ। তবে কি বাঙুর ব্যতিক্রম?

মৃগাঙ্কবাবু বলেন, ‘‘কালিন্দীতেও প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে সক্রিয় হয়েছি।’’ তাঁর মন্তব্য, ‘‘পুরসভার অন্য ওয়ার্ডের তুলনায় বাঙুরের সামাজিক চরিত্র আলাদা। অন্য ওয়ার্ডের কাউন্সিলরেরাও আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। আমি বলব, নাগরিকেরা নিজেদের কথা ভেবে প্লাস্টিক বর্জন করুন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন