nrs

ডিজির সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকের পরেই এনআরএস-কাণ্ডে ধৃত আরও ২

কী ভাবে পাকড়়াও করা হল এই দু’জনকে?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৯ ১৬:৫৭
Share:

জুনিয়র ডাক্তার নিগ্রহের ঘটনায় শাস্তির দাবিতে এই ভাবেই চলেছিল বিক্ষোভ। —ফাইল চিত্র।

এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনায় আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। এর আগে ওই ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছিল এন্টালি থানা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে গ্রেফতার হওয়া ওই দুই যুবকের নাম কাদের হোসেন এবং মহম্মদ নিজামুদ্দিন। সোমবার ধৃতদের আদালতে হাজির করানো হয়। তাদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

গত শনিবার ভবানীভবনে রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রর সঙ্গে বৈঠক করে জুনিয়র চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধি দল। সেই আলোচনার সময় তাঁরা এনআরএস-কাণ্ডের তদন্তে কী অগ্রগতি তা জানতে চান? বাকিদের কেন গ্রেফতার করা যাচ্ছে না তা নিয়েও সেখানে আলোচনা হয়। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে বলে ডিজি-র তরফে তাঁদের আশ্বস্ত করা হয়। বৈঠকের দু’দিনের মধ্যেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। এই ঘটনায় আরও কয়েক জন জড়িত রয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘জোলাপ আবশ্যক’, কেশরীনাথ ও তৃণমূল সাংসদকে নিয়ে তির্যক মন্তব্য কমলেশ্বরের

কী ভাবে পাকড়়াও করা হল এই দু’জনকে? সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, গত ১১ জুন ঘটনার রাতের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা যায় দুই যুবক তাঁদের বাইক ফেলে পালাচ্ছেন। এর পর ফুটেজ খতিয়ে দু’টি বাইকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর বার করা হয়। তার পর তাদের মালিকের সন্ধান করে কাদের এবং নিজামুদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দিন রোগী মৃত্যুর পর এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকদের উপর চড়াও হন তাঁরা। এর পর থেকে দু’জনে পলাতক ছিলেন। গ্রেফতারের পর ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ফোনে সমস্যা শুনতে রাতেও থাকবেন পুরকর্তারা

গত ১১ জুন এক রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র উত্তাল হয়ে ওঠে এনআরএস চত্বর। ঘটনার রাতে ম্যাটাডর এবং বাইকে করে রোগীর আত্মীয় এবং তাঁর পরিচিতরা হাসপাতালে চড়াও হন। জুনিয়র ডাক্তারদের মারধর করা হয়। পরিবহ মুখোপাধ্যায় এবং যশ টেকওয়ানি নামে দুই জুনিয়র চিকিৎসক গুরুতর জম হন। এই ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনে নামেন জুনিয়র ডাক্তাররা। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নবান্নে বৈঠকে বসেন জুনিয়র চিকিৎসকদের এক প্রতিনিধি দল। ওই বৈঠকে রাজ্য প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে দাবি ওঠে, রাজ্যের সব হাসপাতালে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে যারা ওই মারধরের ঘটনায় যুক্ত তাদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিও জানানো হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন