পোস্তার ভেঙে প়়ড়া উড়ালপুলের ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত। কিন্তু আগামী লোকসভা ভোটের আগেই মহানগরে নতুন দু’টি উড়ালপুল নির্মাণ শুরু করতে চলেছে রাজ্য। একটি যাদবপুর থেকে ঢাকুরিয়া এবং অন্যটি সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের কলেজ মোড় থেকে গোদরেজ ওয়াটারসাইড পর্যন্ত। কেএমডিএ সূত্রের খবর, দু’টি কাজের জন্য দরপত্র বা টেন্ডার ডাকা হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।
নগরোন্নয়ন দফতরের একাংশের মতে, আগামী বছর লোকসভা ভোট। তার দু’বছর পরেই বিধানসভা ভোট। লোকসভা নির্বাচনের আগেই যাতে কাজের অগ্রগতি জনতার চোখে প়ড়ে, সেই চেষ্টা চলছে। বিধানসভা ভোটের আগে দু’টির কাজ শেষ করার চেষ্টা হবে। খোদ পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম নিয়মিত কাজের অগ্রগতি দেখছেন।
কেএমডিএ-র এক শীর্ষ কর্তা জানান, যাদবপুরের ৮বি বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকুরিয়া উড়ালপুলের মুখ পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার লম্বা নতুন উড়ালপুলে খরচ হবে ২৪৮ কোটি টাকা। কলেজ মোড় থেকে গোদরেজ ওয়াটারসাইড পর্যন্ত ৫০০ মিটার লম্বা উড়ালপুলের জন্য খরচ ধরা হয়েছে ৪৩ কোটি টাকা।
পুরমন্ত্রীর নির্বাচনী ক্ষেত্র গার্ডেনরিচ থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত নতুন একটি উড়ালপুল তৈরির কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। সেটি দ্রুত চালু করার চেষ্টা চলছে। তবে নিছকই ভোটের চমক দিতে নতুন দু’টি উড়ালপুল নির্মাণ করা হবে, সেই যুক্তি মানতে নারাজ প্রশাসনের পদস্থ কর্তাদের অনেকেই।
পুলিশ ও প্রশাসনের একাংশ জানান, যাদবপুর থেকে ঢাকুরিয়া যাওয়ার সময় মাঝে রাস্তার উপর প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের মোড় রয়েছে। সেখানে তীব্র যানজট হয়। নতুন উড়ালপুলটি তৈরি হলে আনোয়ার শাহ রোডের যানজট এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। একই পরিস্থিতি সেক্টর ফাইভেও। সেখানে বহু সংস্থার অফিস তৈরি হয়েছে। ওই এলাকা দিয়ে গাড়ির যাতায়াতও বেড়েছে বহু গুণ। ফলে যানজট তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। উড়ালপুল হলে সেই জট অনেকটাই কাটবে বলে দাবি করছেন পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা।