মিছিলে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল এস এন ব্যানার্জি রোড। - নিজস্ব চিত্র।
ভাঙড়কাণ্ডে কলকাতার পথে নামল আন্দোলনকারীদের একাংশ। ‘পুলিশি সন্ত্রাস’-এর অভিযোগের পাশাপাশি ধৃতদের মুক্তির দাবিতে সোমবার শহরে মিছিল করেন তাঁরা।
এ দিন ‘ভাঙড় আন্দোলন সংহতি মঞ্চ’ এবং ভাঙড়বাসীদের গঠিত ‘কৃষিজমি-জীবিকা ও বাস্তুরক্ষা কমিটি’র নেতৃ্ত্বে প্রায় তিন হাজার মানুষ ওই মিছিলে পা মেলান। কলেজ স্ট্রিট থেকে বেলা ২টো নাগাদ মিছিল শুরু হয়। মহাত্মা গাঁধী রোড, সূর্য সেন স্ট্রিট এবং এস এন ব্যানার্জি রোড হয়ে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে এসে মিছিল শেষ হয়।
আরও পড়ুন: খাঁ খাঁ আউশগ্রামে চলছে পুলিশি টহল, তৃণমূল যোগ মেনে নিচ্ছেন কেষ্টই
ভাঙড়ে সাধারণ গ্রামবাসীদের উপর পুলিশি অত্যাচার অবিলম্বে বন্ধের দাবি ওঠে মিছিলে। তা ছাড়া, আনুষ্ঠানিক ভাবে সরকারি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড বন্ধ করার দাবিও জানানো হয়। মিছিলে পরিচিত কোনও রাজনৈতিক নেতাদের দেখা যায়নি। তবে ভাঙড়ের স্থানীয় আন্দোলনকারীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকরা দলীয় পতাকা ছাড়া এই মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। মিছিলে যাতে কোনও রকম বিশৃঙ্খলা না হয় সে জন্য বহু সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। মিছিল শেষ হওয়ার পর আন্দোলনকারীরা ধর্মতলার পাঁচমাথার মোড়ে প্রতীকী অবরোধ করেন। যদিও কিছু ক্ষণের মধ্যেই আন্দোলনকারীদের হঠিয়ে দেয় পুলিশ।
আন্দোলনকারীরা ধর্মতলার পাঁচমাথার মোড়ে প্রতীকী অবরোধ করেন।-নিজস্ব চিত্র।
রাস্তা সচল রাখতেও বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। যদিও মিছিলের জেরে যানজটে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে রইল মধ্য কলকাতা। রাস্তা সচল রাখতে নাকানিচোবানি খেতে হল পুলিশকে। এ দিন বেলা ১টা নাগাদ কলেজ স্ট্রিট থেকে মিছিল শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হতে বেশ অনেকটা সময় লেগে গিয়েছে। দুপুর ১২টা থেকেই মিছিলে পা মেলাতে কলেজ স্ট্রিট জড়ো হতে শুরু করেছিলেন বহু মানুষ। কিন্তু এ দিন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের নির্বাচন থাকায় গোটা এলাকা জুড়ে নিরাপত্তার বলয় তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু, বহু মানুষ কলেজ স্ট্রিট চত্বরে জড়ো হওয়ায় চরম বিশৃঙ্খলার দেখা দেয়।