বিধাননগর পুরসভা।
সল্টলেকে বহু ফাঁকা জমির মালিকেরা একতলা থেকে তিনতলা বাড়ি তৈরি করেছেন। কেউ ভাড়াও দিয়েছেন। পুরসভার নিয়ম মেনে সেই সব বাড়ির মালিকেরা ঠিক মতো সম্পত্তিকর দিচ্ছেন কি না, বিভিন্ন তলের জন্য পুরসভা থেকে ‘কমপ্লিশন সার্টিফিকেট’ নেওয়া হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে সমীক্ষা শুরু করল বিধাননগর পুরসভা। সূত্রের খবর, যুগ্ম পুর কমিশনারের নেতৃত্বে একটি দল বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই কাজ করছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পরে বিধাননগর পুরসভা পুর নিগমে উন্নীত হয়। রাজারহাট-গোপালপুর ও মহিষবাথান এলাকার ২৮টি ওয়ার্ডকে পুর নিগমের আধীনে আনা হয়। ওই সংযুক্ত এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ির ঠিকানা, ক’তলা বাড়ির জন্য কত টাকা কর হয় তার ঠিক হিসেব বিধাননগর পুরসভার কাছে ছিল না। সম্প্রতি সেই কাজ শুরু হয়েছে। নতুন করে সম্পত্তিকরের বিল বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
বিধাননগর পুরসভার এক কর্তা জানান, পরিষেবা বাড়লেও সেই হারে কর বাড়েনি। মূল্যায়ন পর্ষদের তৈরি করা কর-কাঠামো নিয়ে মামলা হওয়ায় পুরনো হারেই সম্পত্তিকর নেওয়া হচ্ছে। আয় না বাড়ায় পরিষেবা দেওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দেখা গিয়েছে, অনেক বাড়ির মালিক কর ফাঁকি দিচ্ছেন। বাড়ি ভাড়া দিয়েছেন, সেই তথ্য পুরসভাকে জানানো হয়নি। একতলার কমপ্লিশন সার্টিফিকেট নিয়ে দোতলা, তিনতলা তৈরি করে সুবিধা ভোগ করছেন অনেকে। কিন্তু কর কম দিচ্ছেন। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দিয়ে পুরসভাকে তা জানানো হচ্ছে না।
এক পুরকর্তা জানান, একতলার জন্য পুর অনুমোদন নিয়ে অনেকেই দোতলা, তিনতলা তুলে বেশি জল ব্যবহার করছেন। নিকাশির উপরেও চাপ বাড়ছে। জঞ্জাল বেশি জমা হচ্ছে। মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল) দেবাশিস জানা বলেন, ‘‘প্রতিটি ব্লকের বাড়ি ধরে ধরে মূল্যায়ন শুরু হয়েছে। উন্নত পরিষেবা দিতেই এই কাজ হচ্ছে।’’