বেপরোয়া বাইক, হেলমেটও বাঁচাতে পারল না যুবককে

মাথায় হেলমেট থাকা সত্ত্বেও দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে পারলেন না এক যুবক। মহাষ্টমীর রাতে দ্রুত গতিতে চালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হল ভবানীপুরের রাণী শঙ্করী লেনের বাসিন্দা আকাশ সাহা (১৮) নামে ওই যুবকের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৫ ১৮:০৮
Share:

মাথায় হেলমেট থাকা সত্ত্বেও দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে পারলেন না এক যুবক। মহাষ্টমীর রাতে দ্রুত গতিতে চালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হল ভবানীপুরের রাণী শঙ্করী লেনের বাসিন্দা আকাশ সাহা (১৮) নামে ওই যুবকের। বুধবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটে ভবানীপুরে আশুতোষ মুখার্জি রোডে পূর্ণ সিনেমাহলের কাছে।

Advertisement

কি ঘটেছিল? পুলিশ জানিয়েছে, ওই সিনেমাহলের কাছে সিগন্যালে দাঁড়িয়ে ছিল দক্ষিণমুখী একটি গাড়ি। হঠাৎই পিছন থেকে প্রচণ্ড গতিতে ওই যুবক মোটরবাইক নিয়ে ওই গাড়ির পিছনে ধাক্কা মারেন। শেষ মুহূর্তে গাড়ির ‘ব্রেক’ চেপে নিয়ন্ত্রণ করতে গেলেও তিনি তা করতে পারেননি। গা়ড়িটিকে ধাক্কা মেরে মোটরবাইক নিচে ফেলে অনেকটা উপরে উঠে যায় তিনি। ততক্ষণে নিচ থেকে সরে গিয়েছে গাড়িটি। যুবক গিয়ে পড়েন নিচে পড়ে থাকা মোটরবাইকের ওপরে। সঙ্গে সঙ্গে মোটরবাইকের সামনের ড্যাশবোর্ড তাঁর গলায় গেঁথে ভিতরে ঢুকে যায়। যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তিনি কিছুক্ষণ বাদে স্থির হয়ে যান। পরে পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

এ বারের পুজোতে অবশ্য মোটর বাইক দুর্ঘটনার বিরাম নেই। মহাষ্টমীর ভোরে পরমা আইল্যান্ড উড়ালপুলের ওপরে পরপর দু’-দু’টো মোটরবাইক উল্টে পড়ে। দু’জন মোটরবাইক আরোহীর এক জন বরাহনগরের নোয়াপাড়ার বাসিন্দা, প্রমিত বসাক (২০) বুধবার সকালে এসএসকেএম হাসপাতালে মারা যান। আর এক জন একবালপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। ষষ্ঠীর ভোর থেকে সপ্তমীর রাত পর্যন্ত শহরে পাঁচটি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় সাত জনের। তার আগে পঞ্চমীর ভোর রাতেও হেস্টিংসের এজেসি বোস র‌্যাম্পে ঘটে বাইক দুর্ঘটনা। মৃত্যু হয় মনোরঞ্জিৎ অধিকারী (২২) এবং প্রবীর মণ্ডল (২০) নামে দুই যুবকের। চতুর্থীর রাতে যাদবপুরের সুকান্ত সেতুতে শনিবার গভীর রাতে সুকান্ত সেতুর উপর বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় জয় ঘোষাল (২১) নামে এক যুবকের। আহত হন তাঁর বন্ধু।

Advertisement

তবে বাইকআরোহীদের এই ছাড়ের পিছনে পুলিশের অবশ্য বরাবরের একটাই যুক্তি-‘‘পুজোয় ট্রাফিক সামলানো আর এই বাইকবাজদের শাসন করা - দু’টো কাজ এক সঙ্গে সম্ভব নয়।’’ শহর সচল রাখার স্বার্থে ট্রাফিকের দিকে যে পরিমাণ নজরদারি দিতে হয়, তাতে একই সঙ্গে বাইকআরোহীদের প্রতি মনোযোগ এবং তাদের পাকড়াও করা অসম্ভব বলেই মত পুলিশকর্তাদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন