বিকল্প পথের জন্য কি ভাঙা পড়বে দৃষ্টিহীনদের স্কুল

স্কুলের অধ্যক্ষা মৈত্রী পাঁজা শনিবার বলেন, ‘‘কাছেই বাসস্ট্যান্ড ও রেলস্টেশন থাকায় দৃষ্টিহীন পড়ুয়াদের যাতায়াতে সুবিধা হয়। তা ছাড়া, দীর্ঘদিন একই পথে যাতায়াত করতে করতে রাস্তাঘাটে ওরা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে। সরকারের কাছে আর্জি জানাব, যাতে বিকল্প কোনও রাস্তা ভাবা হয়।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:১৬
Share:

দ্রুত: ভেঙে পড়া মাঝেরহাট সেতুর পাশে বিকল্প রাস্তায় শুরু হয়েছে ঢালাইয়ের কাজ। শনিবার। নিজস্ব চিত্র

মাঝেরহাট সেতুর বিকল্প রাস্তা তৈরির ক্ষেত্রে লেভেল ক্রসিং নিয়ে ইতিমধ্যেই নিজেদের আপত্তি জানিয়েছে রেল। এ বার রাস্তা তৈরির ক্ষেত্রে আপত্তি উঠছে নিউ আলিপুর এলাকার একটি দৃষ্টিহীনদের স্কুলের তরফেও। প্রশাসন সূত্রের খবর, নিউ আলিপুরের হুমায়ুন কবীর সরণিতে দৃষ্টিহীনদের ওই স্কুলটি রয়েছে। মাঝেরহাট সেতুর বিকল্প হিসেবে রাজা সন্তোষ রায় রোড এবং হুমায়ুন কবীর সরণিকে যুক্ত করতে গেলে স্কুলটির ৩০ শতাংশ ভাঙতে হবে। পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা বলেছেন, স্কুলবাড়ি ভাঙা হলে সপ্তাহ খানেকের মধ্যে রাস্তা তৈরি করা যাবে। স্কুলটিকে অন্যত্র পুনর্বাসনও দেওয়া হবে।

Advertisement

ওই স্কুলের অধ্যক্ষা মৈত্রী পাঁজা শনিবার বলেন, ‘‘কাছেই বাসস্ট্যান্ড ও রেলস্টেশন থাকায় দৃষ্টিহীন পড়ুয়াদের যাতায়াতে সুবিধা হয়। তা ছাড়া, দীর্ঘদিন একই পথে যাতায়াত করতে করতে রাস্তাঘাটে ওরা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে। সরকারের কাছে আর্জি জানাব, যাতে বিকল্প কোনও রাস্তা ভাবা হয়।’’

প্রশাসনের খবর, স্কুলটি বন্দরের জমিতে। বেসরকারি একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান বন্দরের কাছ থেকে ওই জমি নিয়ে স্কুলটি করেছে। রাস্তা তৈরির জন্য স্কুলের জমি চেয়ে বন্দরের কাছে চিঠি গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত বন্দর এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, সরকারের তরফে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি। তবে পুলিশের একটি সূত্র মারফত তাঁরা বিষয়টি জেনেছেন। স্কুলের একটি সূত্র বলছে, প্রশাসন যদি জোর করে তা হলে হয়তো সরতে হবেই। কিন্তু তার আগে দৃষ্টিহীনদের প্রতি মানবিকতার জন্য আর্জি জানাবেন তাঁরা। পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা বলছেন, জোরাজুরি নয়, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান চান তাঁরা।

Advertisement

সমাধানের আশায় রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। এ দিন দেখা গেল, রাজা সন্তোষ রায় রোডে নতুন রাস্তার ফুটপাতের ঢালাই হয়েছে। রাস্তায় মাটি ও বালি ফেলে সমান করার কাজ চলছে। ওই রাস্তায় বন্দরের একটি পাঁচিল রয়েছে। সেটা ভাঙার অনুমতি না মেলায় রাস্তাটি একটু ঘুরে ভাঙা সেতুর তলায় যাবে। সে ক্ষেত্রে কয়েকটি সিঁড়িও ভাঙা হবে।

ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন নিউ আলিপুরে তিন বার তিনটি গাড়ি খারাপ হওয়ায় কয়েক দফায় যানজট হয়েছে। যদিও বন্দরের হাইড রোড ও তারাতলা রোডে তুলনামূলক গাড়ির চাপ কম থাকায় যানজট তুলনায় কম হয়েছে। তবে যানজট হয়েছে এ দিন শহরের বাকি অংশে। পুলিশ জানায়, এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই-এর মিছিলের জন্য এস এন ব্যানার্জি রোড, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, কলেজ স্ট্রিট, বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে যান চলাচল ব্যাহত হয়। পুজোর কেনাকাটার ভিড়ের জন্য হাতিবাগান ও গড়িয়াহাটে যানজট হয়েছে। গাড়ির চাকা থমকেছে মহাত্মা গাঁধী রোড ও বড়বাজারের অন্য রাস্তাগুলিতেও। বিকেলের পরে একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রার জেরে পার্ক সার্কাস এলাকায় যানজট হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন