যমজ বোনের পচাগলা দেহ উদ্ধার

দিন চারেক ধরেই হাওয়ায় মাংস পচার গন্ধ পাচ্ছিলেন বাসিন্দারা। তাঁরা ভেবেছিলেন, কোথাও বিড়াল বা কুকুর মরে পড়ে রয়েছে। কিন্তু সোমবার সকালে ঘরের জানলা খোলার পরেই দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন পাটুলি থানার গাঙ্গুলিবাগানের অশোক রো-এর বাসিন্দারা। শুরু হয় গন্ধের উৎস খোঁজা। হঠাৎই কয়েক জন বাসিন্দার সন্দেহ হয়, ওই রাস্তার শেষ বাড়িতে যে দুই যমজ বোন থাকতেন, তাঁদেরও প্রায় দিন দশেক এলাকায় দেখা যায়নি। এর পরেই কয়েক জন পড়শি ওই বাড়িটিতে গিয়ে বেল বাজান। দরজাতেও ধাক্কা মারেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:১৫
Share:

দিন চারেক ধরেই হাওয়ায় মাংস পচার গন্ধ পাচ্ছিলেন বাসিন্দারা। তাঁরা ভেবেছিলেন, কোথাও বিড়াল বা কুকুর মরে পড়ে রয়েছে। কিন্তু সোমবার সকালে ঘরের জানলা খোলার পরেই দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন পাটুলি থানার গাঙ্গুলিবাগানের অশোক রো-এর বাসিন্দারা।

Advertisement

শুরু হয় গন্ধের উৎস খোঁজা। হঠাৎই কয়েক জন বাসিন্দার সন্দেহ হয়, ওই রাস্তার শেষ বাড়িতে যে দুই যমজ বোন থাকতেন, তাঁদেরও প্রায় দিন দশেক এলাকায় দেখা যায়নি। এর পরেই কয়েক জন পড়শি ওই বাড়িটিতে গিয়ে বেল বাজান। দরজাতেও ধাক্কা মারেন। কিন্তু সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। তাঁরাই খবর দেন পাটুলি থানায়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দোতলায় উঠে দেখে, খাটের নীচে পড়ে রয়েছে এক বোনের পচাগলা দেহ। আর এক বোনের দেহ উদ্ধার হয় বাথরুম থেকে। তবে কারও শরীরেই আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম করবী রায় ও পূরবী রায়। বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি। বাড়িতে তাঁরা ছাড়া আর কেউ থাকতেন না। তাঁদের এক দাদা থাকেন বিদেশে।

তদন্তকারীদের অনুমান, কয়েক দিন আগে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। তবে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। পুলিশ জেনেছে, ছোট বোন পূরবী রোজ সকালে দুধ আনতে যেতেন। দুপুরে বাড়ির সামনে রাস্তা ঝাঁট দিতেন। এ ছাড়া তাঁকে খুব একটা পাড়ায় দেখা যেত না। এক বাসিন্দা লক্ষ্মী সিংহ বলেন, “কয়েক দিন ধরেই পচা গন্ধ পাচ্ছিলাম। কিসের গন্ধ বুঝতে পারছিলাম না। সোমবার সকাল থেকে আর টেকা যাচ্ছিল না। এর পরেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়।”

Advertisement

পুলিশ জেনেছে, করবীর শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। বছরখানেক আগেও এক বার অসুস্থ হয়েছিলেন তিনি। তখন পড়শিদের থেকে খবর পেয়ে আত্মীয়েরা এসে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। করবী ও পূরবীর সম্পর্কিত এক বোন নন্দিতা চট্টোপাধ্যায় জানান, করবী ও পূরবীর প্রবাসী দাদা প্রতি মাসে মাসোহারার টাকা পাঠাতেন। আর এক ভাই অন্যান্য খরচ মেটাতেন। কী ভাবে ওই দুই বোনের মৃত্যু হল, তা জানতে তাঁদের পরিজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন