খাটে পড়ে রয়েছে বছর পঁচিশেকের এক যুবতীর দেহ। বিদ্যুতের তার দিয়ে বাঁধা হাত-পা। ওই তার দিয়েই ‘শক্’ দেওয়ায় হাত-পা পুড়ে কালো হয়ে গিয়েছে। খাটের পাশের আলমারিতে রাখা বছর সাতের একটি শিশুকন্যার মৃতদেহ। একই রকম ভাবে তার জড়িয়ে বিদ্যুতের শক দেওয়ার চিহ্ন রয়েছে তার শরীরেও।
মঙ্গলবার দুপুরে রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডের একটি হোটেলের কামরায় ওই জোড়া মৃতদেহ দেখে আঁতকে উঠেছিলেন হোটেলের কর্মীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, সারাদিন ওই কামরার বাসিন্দাদের সাড়াশব্দ না পেয়ে দুপুর ৩টে নাগাদ ঘর পরিষ্কার করতে নিজেই হাজির হয়েছিলেন ওই হোটেলের সাফাইকর্মী। বাইরে থেকে দরজায় বার বার টোকা মেরেও কোনও সাড়াশব্দ পাননি তিনি। পরে দরজায় আলতো চাপ দিতেই খুলে যায় ভেজানো দরজা। এর পরেই হোটেলের অন্য কর্মীদের ডেকে আনেন তিনি। পরে ঘটনাস্থলে আসে পার্ক স্ট্রিট থানার পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেল, যুবতীর মৃতদেহের পাশে মোট ৫০টি ঘুমের ওষুধের খালি স্ট্রিপ মিলেছে। ওই ওষুধ যে জলের বোতলে মেশানো হয়েছিল, সেই জলের মধ্যেও ওই ঘুমের ওষুধের অবশিষ্ট পাওয়া গিয়েছে বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে তাঁদের ধারণা, ওই যুবতী ও শিশুটিকে খুন করা হয়েছে।