কসবার এই হোটেল থেকেই উদ্ধার যুবকের দেহ। — নিজস্ব চিত্র।
কসবার হোটেলের ঘর থেকে শনিবার দুপুরে উদ্ধার হয় এক যুবকের দেহ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের গায়ে কোনও পোশাক ছিল না। আদর্শ লোসাল্কা নামে ৩৩ বছরের ওই যুবকের সঙ্গেই হোটেলের ঘরে এসেছিলেন দু’জন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন এক মহিলাও। হোটেলে প্রবেশের প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পরে সেখান থেকে বেরিয়ে যান ওই মহিলা এবং সঙ্গী যুবক। মৃতের সেই দুই সঙ্গীর খোঁজ করছে পুলিশ। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) রূপেশ কুমার জানিয়েছেন, তিন জনই হোটেলে ঘর ভাড়া নেওয়ার সময়ে পরিচয়পত্র দেখিয়েছিলেন। সেই পরিচয়পত্র এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
রূপেশ জানিয়েছেন, আদর্শের নাকের নীচে রক্তের দাগ রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, খুন হয়েছেন যুবক। তবে ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। তিনি জানিয়েছেন, তদন্তের স্বার্থে এই বিষয়ে আর কিছু জানানো যাবে না।
কসবার রাজডাঙা এলাকার এক হোটেলের পাঁচতলার একটি ঘরের মেঝে থেকে শনিবার দুপুরে আদর্শের দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে ওই হোটেলে একটি ঘর ভাড়া নেন তিন জন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন এক মহিলা। বেশ কিছু ক্ষণ তাঁরা ওই ঘরে ছিলেন। গভীর রাতে দু’জন হোটেল ছেড়ে চলে যান। তার পরে আর ফেরেননি। শনিবার দুপুরে ওই ঘর থেকে আদর্শের দেহ উদ্ধার হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ হোটেলে গিয়েছিলেন তিন জন। তিন জনেই পরিচয়পত্র দেখিয়েছিলেন হোটেলে। সেই পরিচয়পত্র সঠিক কি না, এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশের সূত্র বলছে, হোটেলে প্রবেশের প্রায় পাঁচ-ছ’ ঘণ্টা পরে শনিবার রাত দেড়টা-২টো নাগাদ সেখান থেকে বেরিয়ে যান আদর্শের সেই মহিলা এবং পুরুষ-সঙ্গী। হোটেলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ওই তিন জন সহকর্মী, না কি বন্ধু, তা এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তাঁরা পূর্বপরিচিত কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিন জন কেন হোটেলে গিয়েছিলেন, সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আদর্শ বীরভূমের দুবরাজপুরের বাসিন্দা। মাঝেমধ্যে কলকাতায়ও থাকতেন তিনি। পেশায় ছিলেন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট (সিএ)। তাঁর বীরভূমের বাড়িতে খবর দিয়েছে পুলিশ।