Custodial death in Bogtui Case

লালন শেখের রহস্যমৃত্যু নিয়ে মামলা গ্রহণ করল হাই কোর্ট, দ্রুত শুনানির আর্জি মামলাকারীর

সোমবার বিকেলে রামপুরহাটের অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পের শৌচাগারে লাল রঙের গামছা গলায় জড়ানো অবস্থায় লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সিবিআইয়ের দাবি, বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত আত্মহত্যা করেছেন।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ ১০:৫৪
Share:

লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে হাই কোর্টে দায়ের হল মামলা। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সিবিআই হেফাজতে বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের ‘রহস্যমৃত্যু’ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হল। মঙ্গলবার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ মামলা করার অনুমতিও দিয়েছেন। জনস্বার্থ মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছেন মামলাকারী আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেলে রামপুরহাটের অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পের শৌচাগারে লাল রঙের গামছা গলায় জড়ানো অবস্থায় লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, লালন ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। পুলিশ যদিও লালনের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে। সোমবার রাতে রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে যান জেলার পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী। তিনি বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের ডিআইজির অফিস থেকে আজ (সোমবার) বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিট নাগাদ আমাকে টেলিফোনে জানানো হয় যে, সিবিআই হেফাজতে থাকা লালন শেখের জেরা চলছিল। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে যে আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে, তা শুরু করেছি আমরা। ৪টা ৪০ মিনিট নাগাদ এ নিয়ে সিবিআইয়ের তরফে স্থানীয় থানাকেও জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত শুরু করবে পুলিশ। এ নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তও হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হবে। আমরা সেই রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছি।’’

তবে সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন লালনের মৃত্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে কলকাতা হাই কোর্টেও দায়ের হল মামলা।

Advertisement

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের গত ২১ মার্চ রামপুরহাটের বগটুই মোড়ে বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখকে খুন করা হয়। তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা মারে দুষ্কৃতীরা। সেই খুনের পর পরই বগটুই গ্রামের একের পর এক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পর পর কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগে। তার জেরে ১০ জনের মৃত্যু হয়। এর পর কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ওই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই।

গত কয়েক মাসে বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে একাধিক জনকে। সিবিআই দাবি করেছে বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন। তিনি নিহত তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের ডান হাত ছিলেন। বগটুইকাণ্ডে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে লালনের নাম পান তাঁরা। সোমবার সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন সেই লালন শেখের মৃত্যু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন