কাটমানি নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপি সংঘর্ষ

পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সকালে কাটমানি ফেরত দেওয়ার দাবিতে ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়কে জড়ো হন বিজেপি সমর্থকেরা। পঞ্চায়েতও ঘেরাও করেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৯ ০২:৩৫
Share:

প্রতিবাদ: কাটমানি ফেরতের দাবিতে মিছিল বিজেপি সমর্থকদের। বৃহস্পতিবার, দত্তপুকুরে। ছবি: সুদীপ ঘোষ

কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ ঘিরে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষে বৃহস্পতিবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল দত্তপুকুর এলাকা। পুলিশের সামনে চলল ইটবৃষ্টিও। যার জেরে এ দিন যশোর রোডে ব্যাহত হল যান চলাচল।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, কাটমানি ফেরত দেওয়া নিয়ে কিছু দিন ধরে দত্তপুকুরের বিজেপি এবং শাসক দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে চাপানউতোর চলছিল। ওই এলাকা এক সময়ে তৃণমূল অধ্যুষিত থাকলেও এ বারের লোকসভা ভোটে বিজেপির জয়ের পর থেকে দু’পক্ষের মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষ হচ্ছে। কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি এলাকায় পোস্টারও পড়েছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সকালে কাটমানি ফেরত দেওয়ার দাবিতে ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়কে জড়ো হন বিজেপি সমর্থকেরা। পঞ্চায়েতও ঘেরাও করেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, এক কোটি ৭৬ লক্ষ টাকার সরকারি প্রকল্প থেকে দত্তপুকুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের নেতারা প্রচুর টাকা কাটমানি হিসেবে নিয়েছেন। স্থানীয় সূত্রের খবর, সে সময়ে এলাকায় জড়ো হন তৃণমূল সমর্থকেরা। পুলিশের উপস্থিতিতে বিজেপি কর্মীরা এ নিয়ে স্মারকলিপি দিতে গেলে তাঁদের পঞ্চায়েতে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তখনই দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। যশোর রোডের দু’পাশ থেকে দু’পক্ষ ইটবৃষ্টি শুরু করে। ফলে যান চলাচল থমকে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Advertisement

এ দিন বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয় যে, স্মারকলিপি দিতে গেলে তৃণমূল সমর্থকেরা তাদের উপরে হামলা চালিয়েছে। এলাকার বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ বলেন, ‘‘পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে বলে এখন মতিভ্রম হয়েছে তৃণমূলের। ওই এলাকায় এখনও সন্ত্রাস চালাচ্ছে।’’ পাল্টা হামলার অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূলও। এলাকার তৃণমূল বিধায়ক রফিকুর রহমান বলেন, ‘‘লোকসভা ভোট মিটে গেলেও তার পর থেকে নানা অছিলায় এলাকায় গোলমাল পাকাচ্ছে বিজেপির নেতা-কর্মীরা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন