টুকরো খবর

অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক যুবকের। বৃহস্পতিবার, বেহালা এলাকায়। মৃতের নাম ছোটকা বিশ্বাস (২৫)। বাড়ি রাজা রামমোহন রায় রোডে। তিনি একটি প্লাস্টিক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন। পুলিশ জানায়, ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ ছোটকা অ্যাসিড খেয়ে ফেলেন।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৪ ০০:০২
Share:

অ্যাসিড খেয়ে মৃত্যু যুবকের

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক যুবকের। বৃহস্পতিবার, বেহালা এলাকায়। মৃতের নাম ছোটকা বিশ্বাস (২৫)। বাড়ি রাজা রামমোহন রায় রোডে। তিনি একটি প্লাস্টিক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন। পুলিশ জানায়, ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ ছোটকা অ্যাসিড খেয়ে ফেলেন। বৌদি প্রিয়াঙ্কা বিশ্বাস ছোটকাকে ঘরের মেঝেতে ছটফট করতে দেখলে স্বামী বাবলুকে খবর দেন। ছোটকাকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে তাঁকে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় ছোটকার। যুবকের পরিবার সূত্রে পুলিশ জেনেছে, ছোটকা দীর্ঘদিন ধরে হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। সংসারে অভাব থাকায় চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না তিনি। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, মানসিক অবসাদের জেরেই ওই যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন।

Advertisement

রাজ্যের দাবির যৌক্তিকতা জানতে চায় আদালত

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পে এখনও তাদের অংশীদারি রয়েছে বলে রাজ্য সরকার যে দাবি করছে, তার ফয়সালা আগে হওয়া দরকার বলে মনে করে কলকাতা হাইকোর্ট। কেএমআরসি, ইস্ট-ওয়েস্ট প্রকল্পের ঠিকাদার সংস্থা, কেন্দ্র সব পক্ষকে হাইকোর্ট শুক্রবার নির্দেশ দিয়েছে, ওই বিষয়ে বক্তব্য জানাতে। সম্প্রতি হাইকোর্টের বিচারপতি নাদিরা পাথেরিয়ার আদালতে হলফনামা দিয়ে রাজ্য জানিয়েছে, ওই মেট্রো প্রকল্পে এখনও তাদের ২০.৯% অংশীদারি রয়েছে। যদিও কেএমআরসি আদালতে আগেই জানিয়েছে, রাজ্য ইতিমধ্যেই তাদের অংশীদারি তুলে নিয়েছে। কেএমআরসি-র আইনজীবী রাজকুমার বসুর দাবি, হলফনামায় রাজ্য জানিয়েছে, অংশীদারি তুলে নিলেও তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি। এ দিন ঠিকাদার সংস্থার আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র আদালতে জানান, ওই প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্র, কেএমআরসি ও রাজ্য সরকারের মধ্যে চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য প্রকল্প থেকে সরে আসার পরে ওই চুক্তি সংশোধন হয়নি। জয়ন্তবাবু আরও জানান, রাজ্যের অংশীদারি না থাকলেও এই প্রকল্পে তাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। জয়ন্তবাবুর অভিযোগ, অধিগৃহীত জমি ঠিকাদার সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া ও প্রকল্পের খুঁটিনাটি নিয়ে সহযোগিতা, কিছুই করেনি রাজ্য।

দুই দুর্ঘটনা, জখম ৩

পথ-দুর্ঘটনায় জখম হলেন এক মহিলা। শুক্রবার, কসবা থানা এলাকায়। আহতের নাম রীতা গোস্বামী। পুলিশ জানায়, রাজডাঙা মেন রোডে একটি মোটরসাইকেল রীতাকে ধাক্কা মারে। চালক গ্রেফতার হয়েছে। অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবার রোড ও বর্ধমান রোডের মোড়ে লরির ধাক্কায় আহত হন দুই মহিলা। তাঁদের নাম নাজমা বেগম ও ফিরোজা বেগম। পুলিশ জানায়, তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি। লরিটি আটক হলেও চালক পলাতক।

‘প্রতারক’ ধৃত

প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক যুবক। শুক্রবার, টিটাগড় থেকে। ধৃতের নাম অশোক ঘোষ। পুলিশ জানায়, ৩ নভেম্বর ত্রিদীপ চন্দ্র নামে এক যুবক অশোকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ জানান। ত্রিদীপ জানান, তাঁকে ও তাঁর এক বন্ধুকে চাকরি দেওয়ার জন্য অশোক ১০ হাজার টাকা নেন। ১০ নভেম্বর ত্রিদীপ ও তাঁর বন্ধুকে এক সংস্থায় কাজে যোগ দিতে বলা হয়। কাজে যোগ দিতে গিয়ে ত্রিদীপরা জানতে পারেন, ওই নামের কোনও সংস্থাই নেই।

অবস্থান-বিক্ষোভ

খাদ্যভবনের ভিতরে গাড়ি রাখতে না দেওয়াকে ঘিরে শুক্রবার গেটের সামনে প্রতিবাদে সরব হলেন ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের আইনজীবীরা। পুলিশ জানায়, এ দিন ক্রেতাসুরক্ষা আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, চত্বরের ভিতরে আইনজীবীরা গাড়ি রাখতে পারবেন না। তারই প্রতিবাদে এ দিন অবস্থান করেন তাঁরা। খাদ্যভবনের ভিতরে আইনজীবীরা গাড়ি রাখতে পারবেন কি না, সোমবার আলোচনা করে তা ঠিক করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন