পুরনো একটি ঘটনা নিয়ে সল্টলেকের নয়াপট্টিতে এক মহিলার সঙ্গে বোঝাপড়া করতে গিয়েছিলেন নিউ টাউনের এক ব্যক্তি। বিষয়টি নিয়ে দু’জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। তার পর হঠাৎই ওই মহিলা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসা ওই ব্যক্তির গায়ে অ্যাসিড ছোড়েন বলে অভিযোগ উঠেছে। ছুড়ে দেওয়া অ্যাসিডে এক সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ কয়েক জন জখমও হয়েছেন। রবিবার বেলা ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে সল্টলেকের নয়াপট্টিতে।
ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম মনিকা নস্কর। তিনি যাঁর গায়ে অ্যাসিড ছুড়েছিলেন বলে অভিযোগ, তাঁর নাম শান্তিপদ মণ্ডল। শান্তিপদ নিউ টাউনের তালদিয়ার বাসিন্দা।
অ্যাসিড বিক্রি নিয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও শহর ও শহরতলিতে নতুন নতুন হামলার ঘটনা প্রায়ই ঘটে চলেছে। খোলা বাজারে অ্যাসিড বিক্রিতে রাশ টানার নিয়ম খাতায়-কলমে থাকলেও তাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এক শ্রেণির মানুষ যে অ্যাসিড মজুত করছেন, তা ফের পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে এই ঘটনায়।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, শান্তিপদ এবং মনিকা একে অপরের পরিচিত। কিছু দিন আগে মনিকা দেখেছিলেন, এক মহিলাকে শান্তিপদ মোটরবাইকের পিছনে বসিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সেই খবর শান্তিপদের বাড়িতে দেন তিনি। তার জেরে শান্তিপদের বাড়িতে শুরু হয় অশান্তি।
কেন সেই খবর তাঁর বাড়িতে মনিকা জানিয়েছেন, সেই ব্যাপারে বোঝাপড়া করতেই এ দিন ১১টা নাগাদ শান্তিপদ সল্টলেকের নয়াপট্টিতে মনিকা নস্করের সোনার দোকানে আসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, এ দিন প্রথমে দু’জনের মধ্যে কথাকাটি চলছিল। এক সময়ে তাঁরা দেখেন, শান্তিপদকে লক্ষ করে মনিকা বোতল থেকে কিছু ছুড়লেন। তার পরেই শান্তিপদ আর্তনাদ করে ওঠেন। তখন ওই তল্লাটে বাজার করতে এসেছিলেন আশিস দাস নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ার এবং আরও কয়েক জন। মনিকার ছোড়া অ্যাসিড তাঁদের গায়েও এসে পড়ে বলে অভিযোগ। তাঁরাও চেঁচামেচি জুড়ে দেন। শান্তিপদ, আশিস-সহ জখমদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছে়ড়ে দেওয়া হয়েছে।