ভাঙা মণ্ডপ মশার আঁতুড়ঘর না হয়, জারি নির্দেশিকা

ডেঙ্গির চলতি মরশুমে বিধাননগর এলাকায় দুই বালক সহ এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। কলকাতায় অজানা জ্বরে মারা গিয়েছেন ২০ জনের বেশি। যাঁদের ডেথ সার্টিফিকেটে ‘ডেঙ্গি’ শব্দের উল্লেখ ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৮ ০২:৩৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

ভাঙা মণ্ডপ যেন মশার আঁতুড়ঘর না হয়ে ওঠে। পুজো মণ্ডপ তৈরিতে প্রয়োজনীয় সামগ্রী, দ্রব্য দ্রুত সরাতে হবে। সেগুলো সরানো হচ্ছে কি না, তার উপরে নজরদারি চালানোর জন্য ওয়ার্ডভিত্তিক স্বাস্থ্যকর্মীদের নির্দেশও দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। দিন কয়েক আগে একই আশঙ্কা থেকে ওই ধরনের নির্দেশ জারি করেছ বিধাননগর পুরসভাও।

Advertisement

ডেঙ্গির চলতি মরশুমে বিধাননগর এলাকায় দুই বালক সহ এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। কলকাতায় অজানা জ্বরে মারা গিয়েছেন ২০ জনের বেশি। যাঁদের ডেথ সার্টিফিকেটে ‘ডেঙ্গি’ শব্দের উল্লেখ ছিল।

শুক্রবার এ বিষয়ে কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ বলেন, ‘‘কোথায় মণ্ডপের মালপত্র এক জায়গায় জড়ো করা রয়েছে, কোথায় জল, কোথায় আবর্জনা জমছে, তা দেখার জন্য ওয়ার্ড হেলথ ইউনিটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুজো কমিটিগুলিকেও বলা হচ্ছে দ্রুত সমস্ত মালপত্র সরিয়ে ফেলার জন্য।’’

Advertisement

পুর আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পুজো শেষের পরে মণ্ডপ তৈরিতে ব্যবহৃত বাঁশ বা অন্য কোনও সামগ্রী সরাতে অনেক সময়ই দেরি করে পুজো কমিটির একাংশ। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেও সেই মালপত্র, খুলে রাখা সামগ্রীতে জল জমার আশঙ্কা থাকে, যা মশার প্রজননস্থলের আদর্শ পরিবেশ। কিন্তু শহরে ডেঙ্গি পরিস্থিতি যাতে আর জটিল না হয়, তাই আগে থেকেই পুজো কমিটিগুলিকে সতর্ক করেছে পুরসভা।

প্রসঙ্গত, এ বছরই ডেঙ্গি সচেতনতা প্রচারে পুজো কমিটিগুলিকে যুক্ত করার জন্য ‘স্বাস্থ্য-বান্ধব শারদ সম্মান’ চালু করেছিল পুরসভা। ডেঙ্গি সচেতনতা প্রচারে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাপকাঠিতে শহরের সেরা ৫৪ পুজো কমিটির নামও ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী মাসেই আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই কমিটিগুলিকে পুরস্কৃত করা হবে। এ বিষয়ে অতীন বলেন, ‘‘আগামী বছর আরও বেশি সংখ্যক পুজো যাতে এই ডেঙ্গি সতেচনতা প্রচারে অংশগ্রহণ করে, সেটাই লক্ষ্য। আগামী বছর এই প্রতিযোগিতা অগস্ট মাস থেকে শুরু করব, যাতে পুজো কমিটিগুলি আরও বেশি দিন ধরে ডেঙ্গি সচেতনতা প্রচার চালাতে পারে।’’

উল্লেখ্য দিন কয়েক আগে বিধাননগর পুরসভাও এই ধরনের নির্দেশিকা জারি করেছিল। সল্টলেক ও রাজারহাট এলাকায় এখনও অনেক জায়গাতেই দুর্গাপুজোর মণ্ডপ পড়ে রয়েছে। বিরাট বিরাট সর্বজনীন পুজোমণ্ডপ খুলে জায়গা ফাঁকা করতে সময় লাগবে। আবার অনেক জায়গায় দুর্গাপুজোর মণ্ডপ ফেলে রাখা হচ্ছে সেখানেই কালীপুজো করার জন্য। ফলে পুরসভার এই নির্দেশ কত দিনে পুজো কমিটিগুলি কার্যকর করে সেটাই দেখার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন