ফের শহরে যাত্রী নিগ্রহ। ট্যাক্সিচালকের পরে বাস কন্ডাক্টরের রোষের শিকার এক যাত্রী।
চলন্ত বাস থেকে যাত্রী নামানোর প্রতিবাদ করায় ওই বাসেরই এক যাত্রীকে মারধর করে তাঁর ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল বাসের কন্ডাক্টরের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকাল দশটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে সার্ভে পার্ক থানা এলাকার অজয়নগরে। তবে এ ক্ষেত্রে অভিযোগ পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ওই কন্ডাক্টরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত কন্ডাক্টরের নাম কার্তিক দাস। ছিনিয়ে নেওয়া ব্যাগটিকেও উদ্ধার হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই যাত্রী জানান, তিনি দমদমের একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্মী। এ দিন সকাল দশটা নাগাদ উল্টোডাঙা থেকে অজয়নগরগামী একটি বাসে ওঠেন তিনি। লোক কম থাকায় দক্ষিণেশ্বর-কামালগাজী রুটের বাসটি আস্তে চলছিল। হঠাৎ পিছনে একই রুটের আর একটি বাস এসে পড়ায় দ্রুত ছুটতে থাকে বাস। কোনও স্টপ এলে যাত্রীদের চলন্ত বাস থেকে কার্যত ধাক্কা দিয়ে নামাচ্ছিলেন কার্তিক। ওই যাত্রীর দাবি, অজয়নগর নামবেন বলে একটু আগেই দরজার কাছে পৌঁছে যান। তখন এক যুবক মুকুন্দপুরে নামতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু বাসের গতি খুব বেশি থাকায় নামতে পারেননি। তখন ওই যাত্রীর সঙ্গে কন্ডাক্টরের বচসা শুরু হয়। অভিযোগকারী যাত্রী বলেন, “আমিও প্রতিবাদ করি। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কেন যাত্রীদের নামানো হচ্ছে, জিজ্ঞাসা করতেই বচসা শুরু হয়। পরে আমার উপরে চড়াও হন কন্ডাক্টর।”
বছর বত্রিশের ওই ব্যক্তি পুলিশকে জানিয়েছেন, কন্ডাক্টর তাঁকে প্রথমে ধাক্কা মারেন। বাসের মধ্যেই টানেহেঁচড়াও করা হয় বলে পুলিশে অভিযোগ করেছেন তিনি। ততক্ষণে অবশ্য সেই যাত্রী বাস থেকে নেমে গিয়েছেন, যাঁর ঝুঁকির কথা ভেবে তিনি প্রতিবাদ করেছিলেন। নিগ্রহের শিকার হওয়া ওই যাত্রী বলেন, “বাকি যাত্রীরা বারণ করলেও ওই কন্ডাক্টর কথা শোনেনি। এর মধ্যে অজয়নগরও পেরিয়ে যায়।”
কিছু পরে হাইল্যান্ড পার্কের কাছে তাঁকে কার্যত ধাক্কা দিয়ে বাস থেকে নামানো হয় বলে অভিযোগ ওই যুবকের। তখনই তাঁর ব্যাগটি ছিনিয়ে নেন কন্ডাক্টর। তিনি বলেন, “ওই ব্যাগে আমার পরিচয়পত্র, কিছু টাকাও ছিল।”
তিনি জানান, বাস থেকে নেমেই সেখানে থাকা কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকে বিষয়টি জানান তিনি। এর পরে থানায় খবর দেওয়া হয়। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় কার্তিককে।