পুলিশ ও চালকদের হাতাহাতি, বন্ধ বাস

পুলিশ জানায়, বালি ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সেতুর সংস্কারের জন্য সেতুর নিচের স্ট্যান্ড থেকে সব বাস সাময়িক ভাবে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ৫৪ নম্বর রুটের কয়েকটি বাস রাস্তার উপরেই রাখা হচ্ছিল বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০০:২৪
Share:

রাস্তার উপর থেকে বাসের পার্কিং সরানো ঘিরে চালকদের সঙ্গে বচসা, হাতাহাতিতে জড়াল পুলি‌শ। অভিযোগ, ঘটনায় মারও খেতে হয়েছে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারকে। সেই অভিযোগে বাস সংগঠনের সম্পাদককে গ্রেফতারের প্রতিবাদে শুক্রবার বন্ধ রইল বালিখাল-ধর্মতলার ৫৪ নম্বর রুটের ৫০টি বাস।

Advertisement

পুলিশ জানায়, বালি ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সেতুর সংস্কারের জন্য সেতুর নিচের স্ট্যান্ড থেকে সব বাস সাময়িক ভাবে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ৫৪ নম্বর রুটের কয়েকটি বাস রাস্তার উপরেই রাখা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। পুলিশ জানায়, এর জেরে ব্যাপক যানজট হচ্ছিল জি টি রোডে। বৃহস্পতিবার রাতেও পুলিশ দেখে রাস্তায় বাস পার্কিং করা রয়েছে। অভিযোগ, বাস সরিয়ে নিতে বলায় ট্রাফিক অফিসারদের সঙ্গে হাতাহাতি বেধে যায় বাস চালকদের। পুলিশ ব্রেক ডাউন ভ্যান এনে বাস সরাতে চেষ্টা করতেই তার চালককে মারধর করা হয়। বালি ট্রাফিক গার্ডের এএসআই সমর মণ্ডলকেও বেধড়ক পেটানো হয়। পুলিশ বাস মালিক সংগঠনের সম্পাদক উদয় সিংহকে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, রাতে থানায় গিয়ে বাস চালকদের হয়ে সওয়াল করেন জেলার এক নেত্রী। স্থানীয় সূত্রের খবর ওই নেত্রীর এক আত্মীয়ের দু’টি বাস রয়েছে ওই রুটে। শেষে গভীর রাতে উদয়কে ব্যক্তিগত বন্ডে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

উদয় বলেন, ‘‘আমি শুধু পুলিশের সঙ্গে কথা বলছিলাম। বচসার সময় ভিড়ে কে পুলিশকে মেরেছে জানি না।’’ হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘সমরবাবু লিখিত অভিযোগ করেছেন। মামলা দায়ের হয়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement