বেসরকারি হাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, দ্বন্দ্বে বাস-ট্যাক্সি

গাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষার (সিএফ) ভার বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় একযোগে নামল বাস, মিনিবাস, ট্যাক্সি, লাক্সারি ট্যাক্সির মালিক সংগঠনগুলি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:০০
Share:

গাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষার (সিএফ) ভার বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় একযোগে নামল বাস, মিনিবাস, ট্যাক্সি, লাক্সারি ট্যাক্সির মালিক সংগঠনগুলি।

Advertisement

মঙ্গলবার এমন ১০টি সংগঠনের তরফে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দেওয়া হয়, অবিলম্বে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। ১০ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে আন্দোলন তীব্র করার হুমকিও দিয়েছে তারা। তবে এখনই ধর্মঘট ডাকছে না মালিক সংগঠনগুলি। নেতাদের বক্তব্য, আন্দোলন ধাপে ধাপে তীব্র হবে। তাতেও সরকারের হেলদোল দেখা না গেলে ধর্মঘটের পথে যেতে বাধ্য হবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।

সংগঠনের নেতাদের দাবি, মোটর ভেহিক্‌লস বিভাগের ইনস্পেক্টরদের দিয়ে গাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষা বেশি নির্ভরযোগ্য। খরচও কম। কিন্তু কিছু গাড়ির শো-রুমকে গাড়ির ফিটনেস টেস্টের ভার দিলে খরচ বৃদ্ধির সঙ্গে অনিয়ম বাড়বে বলে মনে করছে বাণিজ্যিক গাড়ি মালিকদের সংগঠনগুলি। রাজ্যের ট্যাক্সিমালিক সংগঠনগুলির এক প্রতিনিধির কথায়, ‘‘শো-রুম ব্যবসায়িক স্বার্থে ইচ্ছাকৃত ভাবে গাড়ির টায়ার, যন্ত্রাংশ বদলাতে বলবে। তাই পরিবহণ দফতর থেকেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত।’’

Advertisement

যদিও পরিবহণ কর্তাদের দাবি, কলকাতা-সহ রাজ্য জুড়ে গাড়ি যে হারে বেড়েছে, সেই হারে মোটর ভেহিকেলস ইনস্পেক্টর বাড়েনি। ফলে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ফিটনেস পরীক্ষা যথাযথ হয় না। অনেক ক্ষেত্রেই ইনস্পেক্টররা অর্থের বিনিময়ে ফিটনেসে খামতি থাকা গাড়িকেও শংসাপত্র দিয়ে দেন বলে অভিযোগ। গাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষা ঠিকমতো না হওয়ায় দুর্ঘটনা বাড়ছে বলেও অভিযোগ প্রশাসনের কর্তাদের। বেসরকারি হাতে গেলে গাড়ির স্বাস্থ্য নিয়ে কড়াকড়ি অনেক বাড়বে বলে মনে করছেন অধিকাংশ পরিবহণ কর্তাই।

এক পরিবহণ কর্তা বলেন, ‘‘বাণিজ্যিক গাড়ির মালিকেরা ভুল বুঝছেন। বেসরকারি সংস্থা গাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলেও তার খরচ বাড়বে না। সেই নিশ্চয়তা সরকার দিচ্ছে।’’ ওই কর্তার দাবি, ‘‘বেসরকারি সংস্থা ফিটনেস দেখবে মানে সরকারি কেন্দ্রগুলি বন্ধ হয়ে যাবে, এমন নয়। আশা করি, সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসলেই মালিকদের সব ধন্দ মিটে যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন