এক লোহা ব্যবসায়ীর অফিসে ঢুকে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে মারধর করে এক লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা ছিনতাই করল দুই দুষ্কৃতী। শনিবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটেছে হাওড়ার শিল্পাঞ্চল বলে চিহ্নিত ব্যাঁটরা থানা এলাকার মধুসূদন পালচৌধুরী লেনে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দুই দুষ্কৃতীকেই চিহ্নিত করা গিয়েছে। তবে রাত পর্যন্ত তাদের খোঁজ মেলেনি। উদ্ধার হয়নি টাকাও।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুর একটা নাগাদ কারখানা এলাকায় কর্মীরা যখন খেতে বেরিয়েছিলেন, তখন দুই দুষ্কৃতী ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ১০০ নম্বর মধুসূদন পালচৌধুরী লেনের একটি লোহার পাইপ তৈরির কারখানায়। সেখানে তখন একাই ছিলেন মালিক গোবিন্দরাম অগ্রবাল। পুলিশ জানায়, আচমকাই দুই যুবক ঢুকে পড়ে চেয়ারে বসে থাকা গোবিন্দরামবাবুর গলায় ভোজালি ধরে তাঁর কাছে থাকা সমস্ত টাকা দিয়ে দিতে বলে।
গোবিন্দরামবাবুর ছেলে অমিত অগ্রবাল বলেন, ‘‘প্রথমে বাবা টাকা দিতে অস্বীকার করেছিলেন। এ জন্য ওরা বাবাকে মেরে মেঝেতে ফেলে দেয়। এর পরে গলায় এক জন ভোজালি ধরে। আর এক জন পকেট থেকে জোর করে এক লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে কারখানার দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে পালিয়ে যায়।’’
এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ায় ওই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ব্যাঁটরা থানার পুলিশ। আসেন এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর তথা হাওড়া পুরসভার মেয়র পারিষদ দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘এই এলাকায় এই ঘটনা প্রথম। পুলিশকে বলেছি, দ্রুত দুষ্কৃতীদের ধরতে। দুষ্কৃতীরাও এলাকার বলে
জানা গিয়েছে।’’
পুলিশ সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি শনিবার যে শ্রমিকদের সাপ্তাহিক বেতন হয়, তা জানত দুষ্কৃতীরা। তারা স্থানীয় বলেই মনে হচ্ছে। কিন্তু এত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় দুষ্কৃতীরা পালালেও কী ভাবে কারও চোখে পড়ল না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তদন্তকারীরা। তাই এই ঘটনায় এলাকার আরও কেউ জড়িত আছে বলে তাঁদের সন্দেহ।