ব্যবসায়ীর পোশাক ভর্তি ব্যাগ ছিনতাই মঙ্গলাহাটে

পূর্ব মেদিনীপুরের কেশপুরের বাসিন্দা শেখ আলম গিরানি তাঁর শাশুড়ি ঔতুন বিবিকে নিয়ে গ্রামের দোকানের জন্য হাট থেকে জামাকাপড় কিনেছিলেন। হাওড়া স্টেশন ও বাসস্ট্যান্ডের পাশ দিয়ে গিয়েছে বঙ্কিম সেতু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:৪০
Share:

প্রতীকী ছবি।

সকাল ৯টা। হাওড়ার বঙ্কিম সেতুর ফুটপাথে বসে হাউহাউ করে কাঁদছিলেন ব়ৃদ্ধা এবং সঙ্গের এক যুবক। জানা যায়, অভাবের সংসারে ৩০ হাজার টাকা জোগাড় করে নিজেদের দোকানের জন্য হাওড়ার মঙ্গলাহাট থেকে পোশাক কিনেছিলেন শাশুড়ি ও জামাই। হাওড়া স্টেশনের কাছে বাস ধরতে যাওয়ার সময়ে দুই দুষ্কৃতী টাকা-সহ পোশাক বোঝাই ব্যাগ নিয়ে পালিয়েছে।

Advertisement

পূর্ব মেদিনীপুরের কেশপুরের বাসিন্দা শেখ আলম গিরানি তাঁর শাশুড়ি ঔতুন বিবিকে নিয়ে গ্রামের দোকানের জন্য হাট থেকে জামাকাপড় কিনেছিলেন। হাওড়া স্টেশন ও বাসস্ট্যান্ডের পাশ দিয়ে গিয়েছে বঙ্কিম সেতু। ওই সেতু দিয়ে হেঁটে হাওড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে বড়বাজার যাওয়ার বাস ধরতে আসছিলেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, কয়েক জন দুষ্কৃতী টাকা ও পোশাক ভর্তি ব্যাগটি কেড়ে নিতেই তাঁরা চিৎকার করেন। কিন্তু কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি। অনেক পরে কর্তব্যরত এক ট্র্যাফিক পুলিশ অভিযোগ দায়ের করতে তাঁদের হাওড়া থানায় পাঠান।

এই ঘটনায় আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলাহাটে তোলাবাজদের দাপটের অভিযোগ ছিল আগেই। এই ঘটনার পরে সামনে আসছে ছিনতাইবাজদের দাপটও। হাটে আসা ব্যবসায়ীদের একাংশের অভিযোগ, ছিনতাই এবং লুঠপাটের ঘটনা বঙ্কিম সেতুতে প্রায়ই ঘটছে। গত মাসেই এ ভাবে একাধিক ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই হয়ে গিয়েছে। পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি।

Advertisement

প্রতি মঙ্গলবার কেশপুর থেকে মঙ্গলাহাট ও বড়বাজারে জামাকাপড় কিনতে আসেন আলম। এ দিনও ২০ হাজার টাকার পোশাক কিনেছিলেন তিনি। আলম বলেন, ‘‘আরও কিছু জামাকাপড় কেনার জন্য বড়বাজার যাচ্ছিলাম। তখনই দু’টো লোক ব্যাগ নিয়ে পালাল। ওতে হাজার দশেক টাকাও ছিল।’’ বৃদ্ধা ঔতুন বিবি বলেন, ‘‘অনেক চিৎকার করেছিলাম। কিন্তু এক জনও সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি। আশপাশে পুলিশকেও দেখতে পাইনি।’’

হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘মঙ্গলাহাটের দিনে আশপাশের জেলা থেকেও কিছু দুষ্কৃতী নিয়মিত আসে। তারাই এ সব কাজ করে পালায়। আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের ধরার চেষ্টা করছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন