সেতু সংস্কার হবে, উদ্বেগ বাড়ছে ব্যবসায়ীদের 

কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আগামী ২২ নভেম্বর শুক্রবার থেকে ২৫ নভেম্বর সোমবার সকাল পর্যন্ত বিজন সেতু বন্ধ রাখার জন্য পুলিশের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

কৌশিক ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৯ ০১:৪১
Share:

বিপজ্জনক: বিজন সেতুর নীচে এ ভাবেই বিপদ মাথায় নিয়ে চলছে ব্যবসা। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

বিজন সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময়ে উড়ালপুলের নীচের দোকানের ব্যবসায়ীদের সরানো হবে কি না, তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ব্যবসায়ীরাও জানেন না কবে থেকে ওই উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হবে। তবে, প্রয়োজনে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষকে উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যাপারে সব রকম সাহায্য করা হবে বলে তাঁদের একাংশ জানিয়েছেন।

Advertisement

কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আগামী ২২ নভেম্বর শুক্রবার থেকে ২৫ নভেম্বর সোমবার সকাল পর্যন্ত বিজন সেতু বন্ধ রাখার জন্য পুলিশের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত সবুজ সঙ্কেত মেলেনি। অনুমতি পাওয়ার পরেই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে দোকান বন্ধ রাখা অথবা বিকল্প ব্যবস্থা করার কথা ভাবা হবে বলে কেএমডিএ-র আধিকারিকেরা জানান।

মঙ্গলবার সেখানে গিয়ে দেখা গেল, উড়ালপুলের নীচে রয়েছে বাজার। বাইরের বিক্রেতারা সেতুর ধারে বসেই মালপত্র বিক্রি করছেন। প্রতিদিনই প্রচুর ক্রেতা সেখানে যান। এ ছাড়াও রয়েছে কসবা

Advertisement

কেআইটি বাজার। স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময়ে ভারী ওজন-সহ লরি তুলে উড়ালপুলের ভার বহন ক্ষমতা পরীক্ষা করা হবে। তা ছাড়াও, উড়ালপুলের বিভিন্ন অংশে কাঠামোগত কোনও ত্রুটি থাকলে সেই বিষয়গুলিও বিশেষ ভাবে পরীক্ষা করা হবে। ভারবাহী গাড়ি উড়ালপুলের কাঠামোর উপরে তোলার পরে পরীক্ষার সময়ে যাতে কোনও বিপদের আশঙ্কা না থাকে, সেই কারণেই নীচে অথবা

উড়ালপুল লাগোয়া দোকান বন্ধ রাখার কথা আপাতত ভাবা হয়েছে। শিয়ালদহ উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময়েও সেটির নীচে থাকা দোকানগুলি বন্ধ রাখার নির্দেশ ছিল বলে কেএমডিএ-র আধিকারিকেরা জানিয়েছেন।

কসবা কেআইটি বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মাতাদিন আগরওয়াল বলেন, ‘‘উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রয়োজন। কোন সময়ে তা হবে তা নিয়ে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। আগে থেকে এ ব্যাপারে জানতে পারলে ব্যবসায়ীরা বিকল্প ব্যবস্থা করতে পারেন।’’

স্থানীয় ব্যবসায়ী চঞ্চল সাউ এ দিন বলেন, ‘‘সারা দিন ব্যবসা বন্ধ রাখলে অবশ্যই আর্থিক ক্ষতি হবে। তবে, সারা দিনের কোন সময়ে উড়ালপুলের পরীক্ষা হবে, তা জানতে পারলে সেই সময়টুকু বাদ দিয়ে এখানে ব্যবসা করা যেতেই পারে।’’

কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওই উড়ালপুলের সমস্ত অংশই একসঙ্গে পরীক্ষা হবে না। আলাদা আলাদা অংশে পরীক্ষা করা হবে। আর সেই কারণেই ওই উড়ালপুলের পরীক্ষার জন্য অন্তত তিন দিন সময় চাওয়া হয়েছে।

যে অংশে পরীক্ষা হবে সেই অংশ বাদ দিয়ে ব্যবসায়ীরা দোকান খুলতে পারেন। অথবা, তাঁরা মনে করলে বিকল্প জায়গা খুঁজে সেখানেও বসতে পারেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন