পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।—ফাইল ছবি
রাস্তায় কেব্ল সংযোগের তার অনেক সময়ে এমন ভাবে ঝুলে থাকে যে, তা থেকে বড় বিপদের আশঙ্কা থাকে। তারের ভারে হেলে পড়ে বিদ্যুতের স্তম্ভও। বিপজ্জনক ভাবে ঝুলে থাকা এই কেব্লের তার সরিয়ে মাটির নীচ দিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বৃহস্পতিবার মহাকরণের রোটান্ডায় স্থানীয় কেব্ল টিভি অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠকে এমনই জানালেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ওই বৈঠকে ছিলেন কলকাতার মেয়র তথা দমকলমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়, জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী মলয় ঘটক, পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও। পুরমন্ত্রী বলেন, ‘‘নিউ টাউনের এনকেডিএ এলাকায় মাটির তলা দিয়ে কেব্ল সংযোগের তার গিয়েছে। ওখানে তারের জট নেই। কলকাতাতেও এই ব্যবস্থা করতে হবে।’’
বৈঠকের পরে শোভনবাবু জানান, কলকাতার বড় রাস্তাগুলিতে মাটির তলা দিয়ে কেব্ল সংযোগের তার নিয়ে যেতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু সমস্যা সরু গলিতে। সে ক্ষেত্রে মাটির উপরে ডেক তৈরি করে তার নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি মেয়রের প্রশ্ন, ‘‘একটি বেসরকারি টেলিকম সংস্থা যদি ভূগর্ভ দিয়ে সুষ্ঠু ভাবে তার নিয়ে যেতে পারে, তা হলে স্থানীয় কেব্ল সংস্থাগুলি সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করবে না কেন?’’ এ ব্যাপারে ‘সিটি কেব্ল’-এর ডিরেক্টর সুরেশ শেঠিয়া বলেন, ‘‘মাটির নীচ দিয়ে তার নিয়ে যেতে আমাদের আপত্তি নেই। কারণ, ভূপৃষ্ঠে এই তারের জট থাকলে সেগুলির স্থায়িত্ব কমে যায়। তবে এর মধ্যে কোনগুলি কেব্ল সংস্থার এবং কোনগুলি অন্য সংস্থার তার, তা প্রথমে খতিয়ে দেখুন কেব্ল পরিষেবায় যুক্ত সংস্থা এবং কলকাতা পুরসভার প্রযুক্তিবিদেরা।’’
পুজোয় যাতে তার-জট থেকে বিপদ না ঘটে, সে জন্য আগেই সেই সব তার একসঙ্গে করে সাজিয়ে রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয় এই বৈঠকে।
এ নিয়ে সুরেশবাবুর বক্তব্য, ‘‘আমাদের বেশি কেব্ল কোথাও নেই। কারণ, একটি এলাকায় খুব বেশি এমএসও পরিষেবা দেয় না। বিভিন্ন ফোন বা অন্য সংস্থার তার বিদ্যুতের স্তম্ভে বা অন্য কোথাও বিপজ্জনক ভাবে ঝুলে থাকে।’’