প্রতীকী ছবি।
এক মহিলাকে হেনস্থা এবং যৌন নিগ্রহের একটি মামলায় তাঁর আইনজীবীকে ফোনে হুমকিদেওয়ার অভিযোগ উঠল অভিযুক্তদের পরিচিত এক পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি কলকাতা হাই কোর্টে বিষয়টি জানানোর পরে বুধবার বিচারপতি বিবেক চৌধুরী সিআইডি-কে ওই মামলারতদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি, জামিনে মুক্ত দুই অভিযুক্তকে ফের গ্রেফতারেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
ঘটনাটি ঠিক কী? আইনজীবীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের অগস্টে পাটুলির বাসিন্দা ওই মহিলা কসবা থানায় অভিযোগে জানান, তাঁকে যৌন নিগ্রহ করেছেন দুই ব্যক্তি। পরে অভিযুক্তেরা আগাম জামিনের আবেদন করলে তা মঞ্জুর করে আলিপুর আদালত। মহিলার অভিযোগ, জামিন পেয়ে ফের তাঁকে হেনস্থা করেন অভিযুক্তেরা। এ নিয়ে চলতি বছরের এপ্রিলে আনন্দপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। একই সঙ্গে হাই কোর্টে অভিযুক্তদের জামিন খারিজের আর্জিও জানান।
মহিলার আইনজীবী তীর্থঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, এর পরেই গত মাসে বারাসত জেলা পুলিশের এক আধিকারিক তাঁকে ফোন করে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেন। তাতে কাজ না হওয়ায় তিনি তাঁকে হুমকিওদেন। জেলা পুলিশে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়েও সব জানান তীর্থঙ্কর।
এই মামলায় মূল দুই অভিযুক্তের জামিন খারিজের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে যে আবেদন করা হয়েছিল, বুধবার তার শুনানি ছিল বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর এজলাসে। সেখানে তাঁকে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি উত্থাপনকরেন তীর্থঙ্কর। শুনানিতে তাঁর বক্তব্য ছিল, দুই অভিযুক্ত জামিন পাওয়ার পরেও একই অপরাধ ঘটিয়েছেন। পুলিশ সক্রিয় হয়ে মহিলার অভিযোগের তদন্ত করলে তাঁরা এই সাহস দেখাতে পারতেন না। অন্য দিকে, অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী জামিন খারিজের আবেদনের বিরোধিতা করেন।
শুনানি শেষে মহিলার অভিযোগের তদন্তভার সিআইডি-কে দেন বিচারপতি। তাঁর নির্দেশ, এই মামলায় তদন্তকারী আধিকারিককে নিয়োগ করবেন সিআইডি-র ডিআইজি। কসবা এবং আনন্দপুর থানার ওসিকে মামলার কেস ডায়েরি জমা দিতে হবে ওই আধিকারিকের কাছে। একই সঙ্গে জামিনে মুক্ত দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতারের নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।